Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাই গুরুত্বপূর্ণ...
Hijab
Hijab

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিজাব (Hijab row) বিতর্ক! সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ফিরিয়ে দেওয়া হল কয়েকজন ছাত্রীকে। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mangalore University) সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ ও সরকারি নিয়ম মানতে হবে সবাইকে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচিত পড়াশোনায় মন দেওয়া।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে গেলে সবাইকেই পোশাকবিধি মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "হিজাব নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আদালত রায় দিয়েছে। সবাইকেই আদালত ও সরকারের নির্দেশ মানতে হবে। প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া এটি অনুসরণ করছে। সিন্ডিকেটের রেজোলিউশনও হল যে আদালতের রায় অনুসরণ করতে হবে। আমার মতে, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।"

আরও পড়ুন : গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি সুব্রহ্মণ্য ইয়াদাপাদিথায় বলেন, যেসব মুসলিম ছাত্রী ক্লাসরুমের ভিতরে  হিজাব পরার জন্য চাপ দেয়, তাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের মাথার স্কার্ফ ছাড়াই ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়।

দিন দুয়েক আগে নির্দেশিকা জারি করে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তাদের ঢুকতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যেও। অভিযোগ, পোশাকবিধির আড়ালে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের। এই প্রেক্ষিতেই উপাচার্য জানিয়ে দেন, নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না।

আরও পড়ুন : "গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়", গুজরাতে মোদি

প্রসঙ্গত চলতি বছর ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব (Hijab) অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সব আবেদনপত্র জমা পড়েছিল, সেগুলিও খারিজ করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেও লাভ হয়নি। যার অর্থ, আইনতই হিজাব পরে আর শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারেন না ছাত্রীরা।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles