মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকে শোকজ নোটিশ পাঠাল সেবি। আদানি গ্রুপ সংক্রান্ত যে রিপোর্ট হিন্ডেনবার্গ প্রকাশ করেছিল সে বিষয়েই এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে সংস্থা। এ বিষয়ে তাদের ব্লগে পোস্টও করা হয়েছে আজ অর্থাৎ ২ জুলাই। মোট ৪৬ পাতার ওই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে গত ২৭ জুন। এটাই জানিয়েছে হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg)।
নোটিশের সারমর্ম
জানা গিয়েছে, ওই নোটিশের সারমর্ম হল, শর্ট-সেলার বিষয়ে ভারতের নিয়মবিধিকে লঙ্ঘন করা। ওই নোটিশে হিন্ডেনবার্গ সংস্থার সঙ্গে আদানি গ্রুপে বিনিয়োগকারী এক ব্যক্তির সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, সেবির নিয়মবিধি লঙ্ঘন করেছে হিন্ডেনবার্গ। সেবির প্রতারণামূলক এবং অন্যায্য ব্যবসায়িক পন্থা অবলম্বন রোধ নিয়ন্ত্রণ আইনকে হিন্ডেনবার্গ লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ।
সেবি (SEBI) কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg) আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম প্রভাবিত করা সহ অনেক গুরুতর অভিযোগ এনেছিল। এরপর হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের জল অনেক দূর গড়ায়। প্রভাব পড়ে আদানিদের একাধিক সংস্থাতেও। বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি তদন্ত করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে করা আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আনা অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।
এই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কারা?
এক কথায় বলতে গেলে হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg) রিসার্চ একটি বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা। তাদের মূল লক্ষ্য হল শর্ট-সেলিংয়কে কাজে লাগিয়ে মুনাফা করা। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতার নাম নাথান অ্যান্ডারসন। সংস্থার সদর দফতর নিউ ইয়র্কে। ১৯৩৭ সালে মার্কিন বাজারে একটি আর্থিক কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়। তার নাম ছিল 'হিন্ডেনবার্গ কাণ্ড'। জানা যায়, সেই ঘটনার সূত্রেই নিজের সংস্থার নাম দিয়েছেন নাথান। সংস্থার লক্ষ্য, এমন সব আর্থিক ফাঁক খুঁজে বের করা, যা ধরতে পারলে, আগে থেকেই বিপর্যয়ের সম্ভাবনা চিহ্নিত করা যায়।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সামনে আসে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকার শেয়ার লেনদেন এবং গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg) রিসার্চ কৃত্রিম ভাবে শেয়ার দর বাড়িয়ে প্রতারণা এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিল আদানি গোষ্ঠির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই তদন্তে নামে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। চলতি বছরের মে মাসে এই প্রেক্ষিতে গৌতম আদানির নথিভুক্ত ১০টি সংস্থার মধ্যে সাতটির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে সেবি (SEBI)। ঠিক তার দুমাসের মাথায় হিন্ডেনবার্গকে নোটিশ ধরাল সেবি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours