মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage) অনুসারে কন্যাদান জরুরি নয়। একটি মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এমনই পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, অন্য অনেক রীতিই প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫ অনুসারে হিন্দু বিবাহ সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে বর এবং কনে উভয়কেই হিন্দু হতে হয়। উভয়ের মধ্যে একজনও যদি হিন্দু না হয় সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে সম্পন্ন করাতে হয়। হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে, বর ও কনে দু পক্ষের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হতে হবে। এর পাশাপাশি, ওই সম্মতি যেন কোনও ভাবেই জোর পূর্বক আদায় না হয়, তাও বলা রয়েছে আইনে। এদিনের পর্যবেক্ষণে সাত পাকে বাঁধা রীতির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি।
আশুতোষ যাদব মামলা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আশুতোষ যাদব নামের এক ব্যক্তি তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতের (Hindu Marriage) দ্বারস্থ হন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল যে, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি এও জানান, তাঁর বিয়ের কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ের স্বীকৃতির জন্য কন্যাদানের রীতি পালন করা হয়নি। এই আবেদন নিয়ে প্রথমেই নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, তাঁর বিয়ের কোনও আইনি বৈধতা নেই। এর ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নিজের অভিযোগগুলো থেকেও নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন তিনি। তবে নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি দারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ
হাইকোর্টের বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এদিন পর্যবেক্ষণ করেন, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ের অত্যাবশ্যক রীতি হিসাবে ‘সাত পাকে বাঁধা’-র উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় কন্যাদান (Hindu Marriage) হয়েছে কি না, তা এ ক্ষেত্রে বিচার্য হবে না।’’ প্রসঙ্গত, কন্যাদান এবং সাত পাকে বাঁধা - এই দুটোই হিন্দু বিবাহ নিয়মে প্রচলিত রীতি। তবে অনেকেই বর্তমানে এই রীতির যৌক্তিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারই মাঝে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এমন পর্যবেক্ষণের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours