Oxfam India: অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক! কেন জানেন?

'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে বিদেশি অনুদান আইন লঙ্ঘন করেছে তারা
oxfam
oxfam

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া' (Oxfam India) সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) বা বিদেশি অবদান বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। আয়কর বিভাগের এক সমীক্ষায়, ধরা পড়েছিল যে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন অ্যাক্টের বিধানকে ফাঁকি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

কী অভিযোগ সংস্থার বিরুদ্ধে

'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে বিদেশি অনুদান আইন লঙ্ঘন করেছে তারা। বলা হচ্ছে, করোনার সময় থেকেই বিদেশি অনুদানের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কিছু নিয়ম-কানুন। অভিযোগ, তার পরও 'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া' 'বেআইনি' উপায়েই বিদেশি অনুদান নিয়ে চলেছে। আয়কর বিভাগের নজরে সম্প্রতি সংস্থার বেশ কিছু ই-মেলে অনিয়ম চোখে পড়ে। অলাভজনক সংস্থা মারফতই বিদেশ থেকে অনুদান নিয়ে চলেছে OXFAM, এমনই অভিযোগ উঠছে। 

শুধু তাই নয়, আয়কর বিভাগের একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, কিছু বিদেশি সংস্থা এবং তাদের শাখা 'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়াকে ব্যবহার করে বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করছে। ভারতে সামাজিক কাজকর্মের জন্যই নথিভুক্ত হয়েছিল 'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া'। অভিযোগ, সংস্থার কর্মী, সহযোগী এবং অন্য মাধ্যমে বিদেশি অনুদানের টাকা সংগ্রহ করে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চে ঢুকিয়েছে 'অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া'। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) বা বিদেশি অবদান বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন)-এর আওতায় নথিভুক্ত ছিল ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’ (Oxfam India)। এর মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর থেকে ২০২০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। এই সংশোধিত বিধি অনুযায়ী কোনও সংস্থা, বিদেশ থেকে পাওয়া সহায়তা অন্য কাউকে স্থানান্তর করা যায় না। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেখেছে, সংশোধিত আইনটি চালু হওয়ার পরও বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থ বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া (Oxfam India)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন এনজিওগুলিতেও অর্থ স্থানান্তর করেছে অক্সফ্যাম।
সূত্রের খবর, কমিশন হিসেবে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে তাদের কর্মী বা সহযোগীদের মাধ্যমে অর্থ পাঠাত অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া। টিডিএস ডেটাতেও এটা ধরা পড়েছে। দেখা গিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে ১২,৭১,১৮৮ টাকা পেমেন্ট করেছিল।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles