Let Terrorist: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ।
kashmir_encounter-1
kashmir_encounter-1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "এর আগেও এখানে আতঙ্কবাদীরা এসেছে। কিন্তু আমাদের বড়রা তাদের সঙ্গে লড়াই করে তাড়িয়েছে। আমরা আর আতঙ্কবাদকে ফিরতে দেব না।" কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তুকসান গ্রামের এক বাসিন্দা দৃপ্ত কন্ঠে এই প্রতিজ্ঞা করেন। একদিন আগেই দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিকে (Terrorist) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আটক করেছেন এই তুকসান ধোক (Tukson Dhok) গ্রামের বাসিন্দারা। এই সাহসী কাজের জন্যে সরকারের তরফ থেকে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা  

কাশ্মীরের এই ছোট্ট গ্রামটিতে ৩০০-৩৫০ পরিবারের বাস। ৫০ বছর আগেই এই অঞ্চল থেকে বহু মুসলিম পরিবার অন্যত্র গিয়ে বাসা বেঁধেছে। গরমে এই গ্রামের বাসিন্দারা গবাদি পশুদের নিয়ে চলে যায় উপেক্ষাকৃত উঁচু অঞ্চলে। শীতকালে আবার ফিরে আসে তারা। এখানেই পাকড়াও করা হয় ওই দুই 'মোস্ট ওয়ান্টেড' লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে।

আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় খতম ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

ওইদিন জঙ্গি পাকড়াও -এর ঘটনায় জড়িত থাকা এক যুবক বলেন, "কিছুদিন আগেই ওই দুই ব্যক্তি এসে থাকতে শুরু করে গ্রামে। নিজেদের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয় তারা। যার বাড়িতে  থাকত সেই বাড়ির মালিককে ফোন সুইচ অফ করতে বলে। তাতে ওই ব্যক্তির সন্দেহ হয়। রাত ১০ নাগাদ ওই ব্যক্তি কোনও রকমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ভাইকে ফোন করে। ভাই পেশায় ট্রাক চালক। ব্যক্তিটি ভাইকে জানায় সন্দেহভাজনদের কথা। এও বলে যে তার প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। তারপর সেই ট্রাক চালক গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। চলে পরিকল্পনা। সবাই রাতের বেলায়  ওই বাড়ির বাইরে জড়ো হয়। ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা । ৫টা নাগাদ জানালা দিয়ে  জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে পড়ে গ্রামবাসীরা। তখনও ঘুমোচ্ছিল ওই জঙ্গিরা। কয়েকজন ওদের সামনে রাখা ব্যাগগুলি সরিয়ে দেয়। বাকিরা মিলে ওই দুজনকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলে। তারপরেই স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।"   

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষ এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম্য শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দেবে।’ 

  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles