মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদে মুসলিম স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে হিন্দু দলিত যুবকের হত্যার ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ইসলাম অনুযায়ী 'জঘন্য অপরাধ' বলে উল্লেখ করলেন সারা ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিন (AIMIM)-র প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর মতে, ভাইয়ের অধিকার নেই দলিত ওই যুবককে খুন করার। ঘটনাটিকে তিনি ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভিনধর্মে বিয়ে করায় নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবককে খুন করা হয় হায়দরাবাদে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হায়দরাবাদ সহ গোটা তেলাঙ্গানা। ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলেঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু দলিত যুবক বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের অমতে।
এলাকার এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম ও তাঁর বান্ধবী আসরিন সুলতানা। বিয়ের পরে পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেন নাগরাজু ও তাঁর স্ত্রী। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী।
আরও পড়ুন: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২
সম্প্রতি এলাকায় ফেরেন ওই দম্পতি। গাড়ির শোরুমের সেলসম্যানের কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় সুলতানার ভাই সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনারই কড়া সমালোচনা করেছেন মিম প্রধান। শুক্রবার সারুরনগরের ঘটনাকে তিনি 'ক্রিমিনাল অ্যাক্ট' বলে অভিহিত করেন। শুক্রবার তেলেঙ্গানার এক জনসভা ওয়াইসি বলেন, আমরা সারুরনগরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। মেয়েটি স্বেচ্ছায় হিন্দু ছেলেটিকে বিয়ে করেছিল। ভাইয়ের কোনও অধিকার নেই বোনের স্বামীকে খুন করার। সংবিধানের বিচারে এটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। আর ইসলামের বিচারে কদর্য অপরাধ। তিনি বলেন, আমরা খুনিদের পাশে দাঁড়াব না।
এদিকে, নাগরাজু খুন হওয়ার দু'দিন পরে খুনের ঘটনার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও তেলাঙ্গানার পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours