মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে ঠাঁই হয়েছে মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয়র (Ration Scam)। জেলে এখনও পর্যন্ত দু'রাত কাটাননি মন্ত্রী। তার মধ্যেই নতুন নতুন বায়না শোনা গেল তাঁর মুখে। প্রেসিডেন্সি জেলের কর্তারা মন্ত্রীর এই একের পর এক আবদারের দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাঁর জন্য বরাদ্দ ৭ নম্বর সেল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন তিনি। সেটা ঘিরেই শুরু হয় একপ্রস্থ নাটক। কোনওভাবেই ৭ নং সেলে থাকবেন না বালু, অন্যদিকে নাছোড়বান্দা জেল কর্তৃপক্ষ। বালু বলেন, ‘‘আমি রাজ্যের মন্ত্রী। এই জেল রাজ্য সরকারের আওতায় রয়েছে (Ration Scam)। আমি এই সেলে থাকব না। আমাকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক। আমার শরীরের বাঁদিক পুরো প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে।’’
সারারাত জেগে মন্ত্রী
জেলসূত্রে জানা আরও জানা গিয়েছে রবিবার রাতে জেলের খাবার খেতে অস্বীকার করেন বালু এবং বলেন, ‘‘আমাকে শুধু ওষুধ দাও। আমি কিছু খাব না।’’ তবে জেল কর্তৃপক্ষ, জেলের চিকিৎসকরা মন্ত্রীকে বুঝিয়ে শুনিয়েও পারেননি। শেষ পর্যন্ত রাত আড়াইটে (Ration Scam) নাগাদ খাবার খান মন্ত্রী। আদালতের কোনওরকম নির্দেশ না থাকার কারণে জেলে বালুর জন্য আলাদা খাটের বন্দোবস্ত করা যায়নি। মাটিতে কম্বল পেতেই শুতে হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। দুটি কম্বলকে এক করে বালিশ বানান মন্ত্রী। সারারাত কার্যত জেগেই কাটিয়েছেন মন্ত্রী।
পার্থর প্রতিবেশী বালু
গত রবিবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেল হেফাজতে নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। দুর্গাপুজোর পরেই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী তার আগে পর্যন্ত ছিলেন ইডি হেফাজতে। রবিবার সন্ধ্যাতেই বালুকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। সেখানে পহেলা ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। প্রেসিডেন্সি জেলে অবশ্য নিজের দলের সহকর্মীদের সঙ্গেই (Ration Scam) রয়েছেন বালু। কারণ একই জেলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহার মতো বিধায়করাও রয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours