মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রকেট আমার সন্তানের মতো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, “শুক্রবার চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan 3) প্রথম পর্বের উৎক্ষেপণ উপভোগ করেছি আমি।” তিনি জানান, পুরো ডেটা তিনি খুঁটিয়ে দেখেছেন। রকেটটি যে খুবই সুন্দর ছিল, তা দেখে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী। শুক্রবার সফলভাবে উক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ৩।
চাঁদে পৌঁছতে লাগবে ৪১ দিন
ইসরোর এই সাফল্যে খুশি দেশবাসী। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে এই যানটির সময় লাগবে ৪১ দিন। এর আগে চাঁদের এই অঞ্চলে পৌঁছতে পারেনি বিশ্বের কোনও দেশ। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-র পা রাখাটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জের। কারণ চন্দ্রযান ২ এটা পারেনি।
'মেশিনকে বোঝা খুব ইন্টারেস্টিং'
হায়দ্রাবাদ আইআইটির দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসরোর (Chandrayaan 3) এই বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, “একজন ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানী হিসেবে, রকেটের প্রতি আমার একটা বিরাট ভালবাসা রয়েছে। রকেটগুলিকে আমি আমার সন্তান বলেই মনে করি। এর জন্ম দেখি, বেড়ে ওঠা দেখি, এর আবেগ দেখি। এর মেশিনগুলি এবং গতি এর জীবনের মতো।” সোমনাথ বলেন, “এর আগে যে চন্দ্রযান রকেটটি পাঠানো হয়েছিল, তাতে ২ হাজার মেজরমেন্ট ছিল। শেষমেশ সেগুলি আমাদের সামনে গ্রাফ এবং কার্ভ হয়ে এল। চিকিৎসক যেমন ইসিজির ছবি দেখেন, আমরাও সেভাবেই গ্রাফগুলি দেখছিলাম। এর গ্রাফ ও কার্ভগুলি দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, এর গতি কত হতে পারে। মেশিনকে বোঝা এবং একে উপলব্ধি করাটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার।”
আরও পড়ুুন: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী
ইসরোর এই বিজ্ঞানী বলেন, “অনেকে আমায় জিজ্ঞাসা করেন কেন মানুষই মহাকাশে যাবে, রোবট নয় কেন? আমি তাঁদের বলি, মানুষের যে চেতনা (Chandrayaan 3) রয়েছে, তার উপলব্ধি করার ক্ষমতা যতটা, তা রোবটের নেই। রোবটে সেন্সর লাগিয়ে যেদিন সেটা করা যাবে, সেদিন মানুষ আরও কাছাকাছি চলে আসবে মেশিনের।” তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মানুষ একদিন রোবটে সেন্সর বসাতে সক্ষম হবে। আর তখন মহাকাশে যাওয়ার জন্য মানুষের প্রয়োজন হবে না। পাঠানো হবে রোবট।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours