মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।" কিন্তু এখানে বিশ্বাস অন্ধ বিশ্বাস কি না, তা নিয়ে যেমন শিক্ষিত মহলে প্রশ্ন আছে , তেমনি অনেকেরই আবার দাবি, এ আসলে ঠাকুরের অপার মাহাত্ম্য। বাস্তব যাই হোক না কেন, এমনই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায়। পুকুরে ডুব দিলেই নাকি হচ্ছে মনোবাসনা পূরণ। শুধু তাই নয়, ডুব দিলেই মিলছে চাকরি, অসুস্থ শরীর হচ্ছে সুস্থ, এমনকী মিলছে সন্তানও। এমনটাই নাকি ঘটছে বানিপুরের ইতনা কলোনির এক পুকুরে, স্থানীয়রা যার নাম রেখেছেন "কামনা পুকুর"।
স্থানীয়দের কী দাবি এই পুকুর নিয়ে ?
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পুকুরের জলে নাকি রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এলাকার মানুষজন তাই পুকুরপাড়ে তৈরি করে ফেলেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ-এর মন্দির। শুধু তাই নয়, দূর থেকে ঠাকুরবাড়ির পুকুরের ১০১ ঘটি জল এনে শোধনও করেছেন। এই পুকুরের খবর ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। ভক্তরা আসতে শুরু করেন দূরদূরান্ত থেকে, তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য। আবার অনেকের, যাদের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ কাজ করছে না, তাদের নাকি এই জলে ডুব দিলে শারীরিক সমস্যা দূর হচ্ছে। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে নাকি চলে আসে সন্তান। সকাল থেকেই ভক্তদের তাই লাইন পড়ছে এই এলাকায়, পুকুর সংলগ্ন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরেও পড়ছে লম্বা লাইন। সঙ্গে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ, কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন। উপস্থিত ছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সব মিলিয়ে স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।
শুনুন, এক বৃদ্ধা কী বলছেন
এখানেই দেখা হয়েছিল এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নাতির পায়ে এতই যন্ত্রণা যে তারা কেউই রাতে ঘুমাতে পারতেন না। তাই তিনি এখানের শরণাপন্ন হলেন। নাতির রোগ সারলে এক মন চাল মানসিক হিসেবে দেব বলেছিলেন। তিনি এসেছিলেন সেই মানসিক দিতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours