মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে জমির মালিককে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তা পালন করতে গিয়ে তৃণমূলের পুরপিতার বাধার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। এমনই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) সদর শহর বারাসতে। তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডুর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক। আর তাই জমির মালিককে জমি ফিরিয়ে না দিয়েই ফিরতে হল পুলিশকে। তবে পুরপিতার পালটা জবাব, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি।
জমি দখল করে নিয়েছিল কারা (North 24 Parganas)?
বারাসত (North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বারাসত মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন যশোর রোডের ধারে জমি দীর্ঘদিন দখল করে নেয় কয়েকজন দোকানদার। এই জমি আজমিরা খাতুনের পৈতৃক জমি। জমি ফিরে পেতে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ের পর আদালত, তাঁর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সেই জমি ফেরত পেতে এসে পুরপিতার বাধার মুখে দাঁড়াতে হলো পুলিশকে। অবশেষে জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে।
জমির মালিকের বক্তব্য
এই প্রসঙ্গে জমির মালিক আজমিরা খাতুন বলেন, “এসডিইএম আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে পৈতৃক জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে। আদালতের নির্দেশের এই কপি বারাসত থানা (North 24 Parganas), পুরসভা, এমনকী জেলার পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশে জমি জবরদখলমুক্ত করতে যায় বারাসত থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরাও। বুলডোজার দিয়ে জবরদখল মুক্ত করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূল নেতারা এসে দাদাগিরি করে সববন্ধ করে দেয়।” তিনি আরও বলেন, "আমার বাবা বেঁচে থাকাকালীন জবরদখলকারীরা ওই জমি হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে গিয়েছে। তাও আমরা এদিন পৈতৃক জমি ফিরে পেলাম না। পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন ।
পুরপিতার বক্তব্য
খবর পেয়ে তখনই সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডু। পুরপিতাকে আদালতের নির্দেশের কপি দেখালেও, তিনি কোনও কথা শোনেন নি। পুরপিতা বলেন, “এইভাবে কাউকে তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশের বিষয়টি কেন পুরসভার চেয়ারম্যান (North 24 Parganas), ভাইস-চেয়ারম্যান, আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বকে জানানো হয়নি।”
বিজেপি নেতার বক্তব্য
অবশেষে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপির নেতারা। এই বিষয়ে এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আদালতের নির্দেশ পালন করতে না দেওয়ায়, তৃণমূল কাউন্সিলরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাই।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours