মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা হাসপাতালের (Purba Medinipur) তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। জনকাল্যাণ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে, মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে। তাই শিশুর পরিবার দেখতে চাইলেও দেখাতে দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে, তখন পরিবারের লোক জানতে পারেন, তাঁদের শিশুটি জীবিত আছে। পরে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই তোলপাড় এলাকা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় ৩ জন।
কীভাবে জানা গেল শিশু বিক্রি (Purba Medinipur)?
সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা (Purba Medinipur) রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।
পুলিশের ভূমিকা
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলে, ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা (Purba Medinipur) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা। ধৃত দম্পতি, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার আরও বলেন 'এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে, তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours