মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজার, উত্তম সর্দার ও সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামবাসীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬ বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার এক গ্রামবাসী। অপর দিকে জানা গেল, শাহজাহান-সিরাজের অত্যাচারে স্নাতক হয়ে উঠতে পারেননি বেড়মজুর এলাকার প্রতিবাদী মৌ কোয়েলি সর্দার।
গত শুক্রবারের পর শনিবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। এরপর দুইজন গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে এডিজি সুপ্রতিম সরকার টহল দেন। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক স্পষ্ট করে জানান, “শাহজাহানের নামে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ নেই।” আর এই মন্তব্যে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল!
কর্ণখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দাস অভিযোগ তুলে বলেন, “শাহজাহান বাহিনী আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বন্দুকের সামনে বাবা একদম ভয় পাননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপর আমাকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমাদের পরিবার এই চাষের উপর নির্ভর করে চলে। সমস্ত জমি দখল করে জল ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওরা। প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ৪ দিন জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছিল ওরা।” এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালিতে গেলে এই ভাবেই এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষ। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরও বলেন, “মন্ত্রীরা নিয়ম করে আগে এসে নিপীড়িত মানুষের কথা শুনলে আজকের মতো পরিস্থিতি হত না।”
সিরাজের অত্যাচারে বন্ধ হয়েছে পড়াশুনা
২০২১ সালের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে (Sandeshkhali) ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল সিরাজের বাহিনী। এই সময় কোয়েলির মোবাইল লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। অপরদিকে সেই সময় করোনাকালে পড়াশুনার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মোবাইল এবং অনলাইন। মোবাইল না থাকায় আর পড়াশুনা করা হয়ে ওঠেনি তার পক্ষে। কোয়েলি জানিয়েছেন, “শেখ শাহজাহান এবং সিরাজ সেই সময় আমাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলাম। তখন আমাদের অনলাইনে পড়াশুনা এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপার ছিল। ফোনটা লুট করে নিয়েছিল তাই আর পরীক্ষা দিতে পারিনি। যারা পড়াশুনা করছিল তাদের সকলের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অধ্যাপকদেরও নামে কেস দেওয়া হয়েছিল।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours