Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

সন্দেশখালির মতো তৃণমূল নেতা নান্টুর অত্যাচারেও তটস্থ ছিল পূর্ব মেদিনীপুর…
Sandeshkhali_(1)
Sandeshkhali_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষ, শাসকদলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু হাজরার মতো রাজনৈতিক নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিশেষ করে পথে নেমেছেন স্থানীয় মহিলারা। রাত হলেই বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত তৃণমূল নেতারা। সাধারণ মানুষের চাষের জমি, মাছ চাষের ভেড়ি দখল করে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদে সাধারণ মহিলারা রাস্তায় নেমে সোচ্চার হয়েছেন।

এই উত্তাপের মধ্যে তৃণমূলের বর্বরতা এবং অত্যাচারের চিত্রকে মনে করাল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের কথা। এলাকায় দুস্কৃতী বাহিনীর তাণ্ডবে মানুষের জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিল। চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছ চাষের জমি, গ্রামের মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক শোষণের একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কালের প্রবাহে জনরোষে নিহত হতে হয়েছিল তাঁকে।

কে ছিলেন নান্টু (Sandeshkhali)?

সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তৃণমূলের শাসনের সময়ে এলাকায় একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন নান্টু প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর এলাকার মহম্মদপুর ২ গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল গোটা ভগবানপুর এলাকা। এলাকায় নোনা জলে যে সোনা ফলে, সেটা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন। নোনা জল জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে অনিচ্ছাকৃত মানুষের চাষের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহানের মতো তিনিও এলাকায় দখলদারির রাজনীতি করতেন। একই ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতাবলে বিরোধীদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর এবং বাড়ির মহিলাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করতেন। জনাদাঁড়ি এবং মহম্মদপুরে দেড়শো বিঘা জমিতে ভেড়ি ছিল তাঁর।

বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে যেতেন

নান্টুর বাহিনীর দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙে মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এলাকার পুলিশ-প্রশাসন কোনও অভিযোগ নিতে রাজি হত না। পুলিশের কাছে কেউ সাক্ষী দিতে আতঙ্কিত হত। একই রকমের একটি মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরবেড়িয়া। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলাকার জালামাঠে খুন হন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। এরপর তাঁর দখল করা জমিকে কৃষকেরা ফিরিয়ে নেন।

এলাকার মানুষের বক্তব্য

ভগবানপুরের স্থানীয় মানুষ সনাতন, কানু প্রমুখ বলেন, “আমাদের এলাকার অন্ধকার যুগের ছবিই যেন সন্দেশখালিতে দেখতে পাচ্ছি। সংবাদ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা আবার আমাদের উপর হওয়া অত্যচারের কথাকেই মনে করিয়ে দিল।” অপর দিকে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, “ভগবানপুরের তৃণমূলের মাফিয়ারাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই এলাকার মতো সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ রুখে দাঁড়াবে।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles