মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কতই না কীর্তি, কতই না প্রতিভা! কথায় আছে, চেষ্টা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এমনই কিছু অসাধারণ কাজ করে রেকর্ড গড়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু মানুষ। আর এই তালিকায় খুদেরাও পিছিয়ে নেই। বড়দের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বুক অফ রেকর্ডসে স্থান অর্জন করে নিয়েছে। তাঁদের এমন প্রতিভা রয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ দেশবাসী। দেশের এমনই কিছু প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছি, যাঁরা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।
দীর্ঘতম সময়ের জন্য হুলা হুপিং
প্রথমেই বলা যাক, এই খুদের বিষয়ে। মাত্র ১৩ বছরের এক খুদে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য হুলা হুপিং করে রেকর্ড গড়েছে। এই খুদের নাম দর্শিতা ভাদানি, সে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা। ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং ৫৩ সেকেন্ড নন-স্টপ হুলা হুপ স্পিন করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে দর্শিতা।
অনবরত গান করে তবলা বাজিয়ে রেকর্ড এক কিশোরের
এই কীর্তি গুজরাটের পঞ্চমহলের (বর্তমানে মিশিগানে বসবাসকারী) ঋষি এম প্যাটেলের। ঋষি ৪০ মিনিট ধরে টানা শ্লোক গেয়ে ও একই সঙ্গে তবলা বাজিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।
বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির এক অনুপ্রেরণামূলক কীর্তি
গুজরাটের সুরাটের সুরেশচন্দ্র শান্তিলাল লালন নামের এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি তাঁর সংস্থা ‘স্পার্কেল ডায়মন্ড’-এ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২০০ কর্মী নিয়োগ করে রেকর্ড গড়েছেন। শুধুমাত্র বুক অফ রেকর্ডসেই এই ব্যক্তি জায়গা করে নেননি, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানেও তাঁর বড় অবদান রয়েছে।
ডাক্তারদের তৈরি হার্ট সেপ কোলাজ
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে সচেতনতা প্রচার করতে রোজিক্যাপ, নোভেলটিস, আকুমেন্টিস হেলথকেয়ার লিমিটেড-এর ৭৫১০ জন ডাক্তার মিলে মহারাষ্ট্রের থানের বিএমসি রঞ্জিত গ্রাউন্ডে একটি সবচেয়ে বড় হার্ট কোলাজ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর
সর্বকনিষ্ঠ হিউম্যান ক্যালকুলেটর
মুম্বইয়ের শানায় ভিমেশ দেধিয়া (জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) অফলাইন মোডে মাত্র এক মিনিটে ৮৮ টি যোগ এবং ৯৩টি গুণ সঠিকভাবে সমাধান করেছে। এছাড়াও সে ডিজিটাল সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে যথাক্রমে ২৫, ৫০ এবং ৭৫ সারির ৯টি গুণ এবং ৩টি যোগের সমাধান করেছে। এই খুদের বয়স মাত্র ৮ বছর।
সর্বাধিক মুদ্রা সংগ্রহ
এই রেকর্ডটি উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের ডাঃ সদানন্দ পানিগ্রাহি গড়েছে। তিনি ২৪৬ টি দেশের ২২৩৯ টি মুদ্রা সংগ্রহ করেছেন।
দ্রুততম হিউম্যান ক্যালকুলেটর
এই রেকর্ডটি মুম্বইয়ের ১৩ বছর বয়সী জিনাংশ ভিমেশ দেধিয়ার। এই খুদে সফ্টওয়্যার এবং খাতায় কলমে এক মিনিটে ১৪৩ টি ক্যালেন্ডার তারিখ, ২০ডিজিট x ২০ ডিজিট এবং অনেকগুলি বিভিন্ন গণনা সমাধান করেছে। সবচেয়ে কম সময়ে সমাধান করে জিনাংশ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।
সর্বাধিক সংখ্যক কোম্পানির স্টক রেখে রেকর্ড
কেরালার ত্রিশুরের জয় পালোস এই রেকর্ড গড়েছে। ২০২২-এর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হোল্ডিংয়ের সর্বশেষ বিবৃতি অনুসারে, ১৭৩৬টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক রেখেছেন তিনি।
দীর্ঘতম ক্লিনিং ম্যারাথন
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা আসিফ খান দীর্ঘতম ক্লিনিং ম্যারাথনের উদ্যোগটি নিয়েছিলেন। ২০০ ঘন্টার জন্য নন-স্টপ এই ক্লিনিং ম্যারাথন করা হয়েছিল, যা ২০২২-এর ২ অক্টোবরে শুরু হয়েছিল ও ১২ অক্টোবর শেষ হয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours