মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির এক প্রাইমারি শিক্ষকের ছেলে সৌম্যজিৎ রবিদাস। বয়স ৫ বছর ১০ মাস। কিন্তু এই বয়সেই বাজিমাত করেছে সে। ছোট্ট শিশুটি নাম তুলেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ (India Book of Records)। সৌম্যজিতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সে যখন কথা বলা শুরু করল, সেই সময় থেকেই ওর স্মরণশক্তির প্রখরতা খুব বেশি। ওকে কোনও কিছু একবার বলে দেওয়ার একমাস পর জিজ্ঞেস করলেও সেটা বলে দিতে পারত। গত জুলাই মাসের ২৬ তারিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ আবেদনপত্র জমা দেন তাঁর বাবা। তারপর ভিডিও মারফত ইংরেজি থেকে বাংলায় পাঁচ মিনিটে ১৫৮ টি তর্জমা করে জমা দেওয়া হয়। এরপর গত ২৮ শে অগাস্ট ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে জানানো হয়, সৌম্যজিৎ রবিদাসের নাম বুক অফ রেকর্ডস-এ স্থান পেয়েছে। ২৮ শে অগাস্ট ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড-এর শংসাপত্র সহ মেডেল আসে সৌম্যজিতের বাড়িতে।
ছোট থেকেই শখ বই পড়ার (India Book of Records)
সৌম্যজিৎ রবিদাসের মা'র ইচ্ছা, তাঁর ছেলে ডাক্তার হোক। বাবা পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রত্যেক মা-বাবাই সন্তানদের দেখভাল করেন এবং তাদের কীসে ভাল হবে, সে বিষয়ে সব কিছু ত্যাগ করে সন্তানের পিছনে পড়ে থাকেন। এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ও যখন কথা বলতে শিখলো, তখন ওকে যা বলা হত ও সেটা অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারতো। ছোট থেকেই ওর শখ বই নিয়ে নাড়াচাড়া করা। ফোনের প্রতি সৌম্যজিতের প্রচণ্ড অনীহা। ছোট থেকেই পাশাপাশি দুটো জিনিস ফোন এবং বই রেখে দিলেও বইটা নিয়েই পড়াশোনা করতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়তো। জানার আগ্রহ প্রবল। কোনও নতুন ইংরেজি শব্দ শুনলেই মায়ের কাছে ছুটে চলে যেত তার বাংলা তর্জমা কী হবে, জানার জন্য। কোনও কারণে মায়ের বলতে অসুবিধা হলেও, ও কিন্তু ছাড়ার পাত্র নয়। অভিধান দেখেও ওর মাকে বলতে হতো, ইংরেজি থেকে ওই বাক্যের তরজমা (India Book of Records)।
ডাক্তার হিসাবে দেখতে চায় পরিবার (India Book of Records)
খুশি সৌম্যজিতের পরিবারের লোকজন সহ সাগরদিঘির মানুষজন। বাড়ির সকলের ইচ্ছে, যদি সৌম্যজিৎ পড়াশোনা ঠিকমত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে তাঁরা তাকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চাই। সেই কারণে আজ সৌম্যজিতের বাবা-মা সমস্ত মানুষের আশীর্বাদ চাইলেন যাতে তাঁর ছেলে শিক্ষার আলোয় প্রভাবিত হয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এই আশায় সৌম্যজিতের (India Book of Records) পরিবার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours