মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় থেকে আর মাত্র কয়েক কদম দূরে দাঁড়িয়ে আছেন রোহিতরা। তৃতীয় দিনের শেষে শান্তদের রান ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান। বাংলাদেশের এখনও দরকার ৩৫৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ পন্থ ও শুভমান গিলের সেঞ্চুরি। তার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণি। জোড়া ফলায় বেসামাল বাংলাদেশ।
জীবন যুদ্ধের নায়ক পন্থ
কয়েক সেকেন্ডের ভুলে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল তাঁর জীবন। ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাঁর ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। ২০২২-এর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফেরার চার দিন পরের সেই দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমরে যাওয়া স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পন্থকে বাইশ গজে ফেরানোর চেষ্টার কসুর করেননি জয় শাহেরা। তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারও হাল ছাড়েননি। ৬৩২ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে চেন্নাইয়ের কঠিন পিচে শতরান করলেন জীবন যুদ্ধের নায়ক ঋষভ পন্থ।
মিরপুরে খেলা শেষ টেস্টে ৭ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছিল। চেন্নাইয়ে সেই নাজমুল হোসেন শান্ত, শাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধেই ১০৯ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়লেন রুরকির তরুণ। ভারতীয় উইকেটরক্ষকদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সবচেয়ে বেশি ছ’টি শতরানের নজির ছুঁয়ে ফেললেন পন্থ। বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় দলে উইকেটরক্ষকের জায়গার হক তাঁরই। ১২৮ বলের ইনিংসে ১৩টি চার, ৪টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ৮৫.১৫।
শতরান গিলের
বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় দিন ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৮১ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন গিল ও পন্থ। দ্রুত রান তুলতে থাকেন দুই তরুণ ক্রিকেটার। শতরান করেন গিলও। ১৭৬ বলে ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। রাহুল দ্রাবিড়ের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ান ডাউনে নেমে মাত্র ৩৫ টি ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়ের চিপকে শতরানের নজির গড়লেন। ইনিংসে ১০টি চার এবং ৪টি ছক্কা হাঁকান শুভমান। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ায় কম সমালোচিত হননি। কেন তাঁকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্নও ওঠে। দ্বিতীয় ইনিংসে সব জবাব দিলেন এই তরুণ। গিল ও পন্থের জোড়া শতরানের ওপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২৮৭ রান করে ডিক্লেয়ার করে ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৫১৪ রানের লিড নেন রোহিতরা।
Bad light brings an end to the day's play.
— BCCI (@BCCI) September 21, 2024
Bangladesh 158/4, need 357 runs more.
See you tomorrow for Day 4 action 👋
Scorecard - https://t.co/jV4wK7BgV2#TeamIndia | #INDvBAN | @IDFCFIRSTBank pic.twitter.com/7JWYRHXQuY
জয় সময়ের অপেক্ষা!
চা বিরতির এক ঘণ্টা আগে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত। লক্ষ্য ছিল এই এক ঘণ্টায় দ্রুত বাংলাদেশের উইকেট তোলা। কিন্তু সেটা হয়নি। বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং শাদমান ইসলাম মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। জাকির হাসানকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু ঘটান যশপ্রীত বুমরা। ভারতীয় পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লোভ সামলাতে না পেরে ব্যাট বাড়ান জাকির। বল চলে যায় গালিতে। যশস্বী জয়সওয়াল বল ধরতে ভুল করেননি। ৩৩ রান করে আউট হন জাকির। তার পর শুরু হয় অশ্বিনের (৬৩/৩) জাদু। দ্রুত ফিরে যান মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম। শাদমানও বাঁচতে পারলেন না অশ্বিনের ঘূর্ণি থেকে। খারাপ আলোর কারণে, নির্ধারিত সময়ের এক-ঘণ্টা আগেই শেষ হয় দিনের খেলা। না হলে, হয়ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হত। এখন সকলের নজর চতুর্থ দিনের দিকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours