মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) হাতে আটক পশ্চিমবঙ্গের দুটি গাড়ি। যেখানে উদ্ধার পিস্তল, ধারালো অস্ত্র। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ভিজিলেন্স অফিসার সেজে এই গ্যাং ডাকাতি করতো। পাশাপাশি ওই গাড়ির ভিতরেই রাখা ছিল তৃণমূলের উত্তরীয় এবং ব্যাজ। যা নিয়ে রাজনৈতিক আঁচ দেখা গিয়েছে আসানসোলে। শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোর। পুলিশ (Jharkhand Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ঝাড়খণ্ডের নিরসা থানার (Jharkhand Police) গোপালগঞ্জ এলাকাতে পুলিশ দুটি গাড়ি আটক করে।
ভুয়ো অফিসার সেজে তোলাবাজি করতো এই গ্যাং
গাড়িতে থাকা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই পুলিশের (Jharkhand Police) সন্দেহ হয়। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের আধিকারিকরা। উদ্ধার হয়, পিস্তল, ছুরি এবং নগদ টাকা। শুধু তাই নয় গাড়ি দুটির সামনে লেখা, ‘‘সোশ্যাল জাস্টিস ফর ইন্টারন্যাশনাল সিভিল রাইট কাউন্সিল’’ এবং ‘‘অ্যান্টি কোরাপশন ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া’’। জানা গিয়েছে, যে গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর তাদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ জমা হচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন থানা (Jharkhand Police) এলাকায় এই অভিযোগ আসছিল। ভারী পণ্যবাহী লরিগুলিকে আটক করে তারা সেখান থেকে তোলাবাজি করতো। কীভাবে চলতোস তোলাবাজি? পুলিশ (Jharkhand Police) জানাচ্ছে, ধৃতরা ভুয়ো ভিজিল্যান্স অফিসার সেজে জাতীয় সড়কে গাড়িগুলিকে আটকাতো এবং মোটা টাকা দাবি করত। তাদের পোশাক এবং গাড়ি দেখে লরির মালিকরা তা দিয়েও দিত। অনেকদিন ধরেই এই কাজকর্ম চলার পরে লরি চালকরা নিরসা থানাকে খবর দেয়। তারপর থেকেই এই গ্যাংকে ধরতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ (Jharkhand Police)।
ছবি-সংগ্রহীত
মোট গ্রেফতার ৭ জন
জানা গিয়েছে, এই দলের বিরুদ্ধে আরপিএফ এর কাছেও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অভিযোগ গিয়েছে। এদিনই ধৃত ৭জনকে ধানবাদ আদালতে তোলা হয়। মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police) সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনই এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) উচ্চ পদস্থ আধিকারিক অমর পাণ্ডে। এবং তিনি বলেন যে অভিযুক্তরা প্রত্যকেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। অমর পান্ডে আরও বলেন, ধৃত যুবকদের কাছ থেকে পিস্তল ছাড়াও চাকু, নগদ টাকা, আইফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদেরকে জেরা করে ডাকাতির প্রমাণও মিলেছে।
শুরু তৃণমূল-বিজেপি তরজা
এদিকে, এই ঘটনায় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপি-র জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল আর দুষ্কৃতী সমর্থক। ঝাড়খণ্ডে তোলাবাজি করছিল সাত যুবক। তাঁরা আসলে আসানসোলের। আসলে ভিন রাজ্যে ছিল বলেই ধরা পড়েছে।” অন্যদিকে, তৃণমলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের সাফাই, “দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে শুনেছি। তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয় পাওয়া গিয়েছে, সেটাও শুনেছি। কিন্তু এগুলো তো বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” পাশাপাশি, ধৃতদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours