প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হিমাচলে ক্ষয়ক্ষতি কেমন? জানুন
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) এই বছরে মৃত্যু হয়েছে ২৫৭ জনের এবং মোট সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০০০ কোটি টাকা। গতকাল রবিবারে হিমাচল প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছর উত্তর ভারতে অধিক বৃষ্টিপাত এবং প্রাকৃতিক ধসের কারণে এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৪ জুন থেকে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিভিন্ন অঞ্চল অধিক বৃষ্টিপাত এবং ধসজনিত সমস্যায় বিপর্যয়ের শিকার হয়ে চলেছে। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে আনুমানিক ৭০২০.২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। বর্ষার এই বৃষ্টিপাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড়ি অঞ্চলে ধসের কারণে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯১ জন মানুষের রাস্তায় বিপর্যয়ের কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এই বর্ষার প্রবহমান বিপর্যয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ৩২ জন। বিশেষ ভাবে আহত হয়েছেন ২৯০ জন মানুষ। এছাড়াও ১৩৭৬ টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৭৯৩৫টি বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় ২৭০ টি দোকান সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। ২৭২৭ টি গরু রাখার গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। পরিসংখ্যানে বলা হয়, ৯০ টি ধসের ঘটনা ঘটেছে। ৫৫ টি বৃষ্টির জলে বন্যার ঘটনা ঘটেছে। ৪৫০ টির মতো রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ২টি জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৮১৪ টি স্থানে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটেছে। ৫৯ টি স্থানে জল সরবরাহ সংযোগ চ্যুত হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকৃতির মারে হিমাচলের জনজীবন নাজেহাল অবস্থা।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু (Himachal Pradesh) জানান, রাজ্যের বর্ষা কবলিত পরিবেশের কথা ভেবে শিক্ষা দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলকলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের সব জেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয়ের বিষয়ে জেলা শাসকদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিশেষ ভাবে বিপর্যয়কে মোকাবিলা করার জন্য সংযোগ রক্ষার কথা বলা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।