লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধীদের চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা...
লোকসভার অধিবেশন (প্রতীকী ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ বিরোধী সাংদদের বিরুদ্ধে। লোকসভা (Loksabha) ও রাজ্যসভা এদিন চরম বিশৃঙ্খলা সাক্ষী থাকল, যার নেপথ্যে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। লোকসভার স্মোককাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই বলেছিলেন যে এনিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার, বিতর্কের চেয়ে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার পরেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপরেও বিরোধী সাংসদদের এহেন আচরণে উঠছে প্রশ্ন। সোমবার স্মোককাণ্ড নিয়ে তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। আর এ কারণেই ৩৩ জন লোকসভার সাংসদকে (Loksabha) এবং ৩৪ জন রাজ্যসভার সাংসদকে চলতি শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল। যার মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। এই হিসেবে দুটি কক্ষ মিলিয়ে একই দিনে সাসপেন্ড করা হল ৬৭ সাংসদকে।
এরাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নয় সাংসদও রয়েছেন তালিকায়। নারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত সৌগত রায় তো রয়েছেন, পাশাপাশি কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দারদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারণ ও টিআর বালুকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন লোকসভায় (Loksabha)। কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার দিনই সিআরপিএফের শীর্ষ আধিকারিককে মাথায় রেখে কমিটি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাড়ানো হয়েছে সংসদের (Loksabha) নিরাপত্তা। গ্যালারি এবং ভবনের মাঝখানে বসানো হচ্ছে পুরু কাচের দেওয়াল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের করণীয় কাজ তো করেছেন। অমিত শাহের কাজই তো তাঁর সবচেয়ে বড় বিবৃতি। তারপরে আলাদা করে বিবৃতির প্রয়োজন কি রয়েছে? এমনটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ‘‘কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো কোনওরকম ইস্যু পাচ্ছে না। বছর ঘুরলে লোকসভা ভোটও রয়েছে। তাই লোকসভার স্মোককাণ্ডকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে চলতি শীতকালীন অধিবেশন কে পন্ড করতে চাইছে তারা।’’ প্রসঙ্গত, আজকের ৩৩ জনকে নিয়ে মোট ৪৭ জন লোকসভার সদস্যকে বিভিন্ন ইস্যুতে শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।