Maharashtra: মাথার দাম ৩৬ লক্ষ টাকা, ভোটের মুখে ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র সীমানায় মাওবাদীদের খতম করল নিরাপত্তাবাহিনী
মাওবাদী দমনে অভিযান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআরপিএফ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সীমানায় গঢ়চিরৌলিতে মাওবাদীদের চার কমান্ডার নিহত হলেন। নাগপুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে কোলামার্কা পাহাড়ে অন্তত চার সন্দেহভাজন মাওবাদীকে খতম করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এই চার কমান্ডারের মাথার দাম ছিল ৩৬ লক্ষ টাকা। মৃতদের মধ্যে দু'জন নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র উচ্চস্তরীয় বিভাগীয় কমিটির সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলের দিকে গোপন সূত্রে গঢ়চিরৌলি পুলিশের কাছে খবর আসে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh)-মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সীমানার কাছে মাওবাদীদের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির কিছু সদস্য জড়ো হয়েছেন। সেই দলে চার জন কমান্ডার আছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণ করেছিল পুলিশ। পুলিশ আরও জানতে পারে, তেলঙ্গানা থেকে প্রাণহিতা নদী পেরিয়ে গঢ়চিরৌলিতে ডেরা বেঁধেছিল ওই দলটি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও হামলার ছক থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় দুই রাজ্যের সীমানায় অভিযান চালায় সিআরপিএফ এবং গঢ়চিরৌলি পুলিশের যৌথবাহিনী।
পুলিশ সুপার বলেন, 'মাওবাদীদের রাজ্যে প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করার পরই আমরা অবিলম্বে পুলিশের একাধিক দল গঠন করি। কমব্যাট অভিযানে অভিজ্ঞদের নিয়ে সেই দল গঠন করা হয়। পাশাপাশি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কুইক অ্যাকশন টিমও এই অভিযানে সামিল হয়। এই দলগুলিতে তেলাঙ্গানার সীমান্তবর্তী এলাকায় তল্লাশির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই দলগুলির মধ্যে একটি ছিল এলিট অ্যান্টি-নক্সাল স্কোয়াড সি-৬০। তারা রেপনপল্লীর কাছে কোলামার্কা পাহাড়ে গিয়েছিল। এই দলটি পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ করলে মাওবাদীরা তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জবাবে নিরাপত্তাকর্মীরাও পালটা গুলি চালায়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার ভোরে মাওবাদীদের খতম করা হয়। ভোরে প্রায় দুই ঘণ্টা এই গুলির লড়াই চলেছিল।'
আরও পড়ুন: দেশে কবে থেকে চলবে বুলেট ট্রেন? কী বললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব?
গোলাগুলির লড়াই বন্ধ হয়ে গেলে যৌথবাহিনীর তরফে তল্লাশি শুরু করা হয়৷ তল্লাশিতে উদ্ধার হয় চার মাওবাদীর দেহ ৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটা একে-৪৭, একটা কার্বাইন ও ২টি দেশি পিস্তল ৷ পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে মাওবাদী বিষয়ক বইও। ইতিমধ্যেই চার মাওবাদীর পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ৷ তারা হল, ডিভিসিএম ভারগীশ৷ সে মাঙ্গি ইন্দ্রভেল্লি এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি এবং কুমুরাম ভীম মাঞ্চেরিয়াল ডিভিশনাল কমিটির সদস্য ছিল৷ দ্বিতীয় জন হল ডিভিসিএম মাঙ্গটু৷ সে সিরপুর চেন্নুর এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি ছিল৷ এছাড়াও ছিল মাওবাদী সংগঠনের দুই সদস্য কুরসাং রাজু, কুদিমেত্তা ভেঙ্কাটেশ ৷ জেলা পুলিশ সন্দেহ করছে যে এনকাউন্টারের পরে কয়েকজন মাওবাদী এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।