মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয় শনিবার সকালে
দুর্ঘটনাস্থল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথের (Kedarnath) যাত্রাপথে বড়সড় দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে কেদারনাথ যাত্রা করতে যাওয়ার সময় রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। এবং তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৫ তীর্থযাত্রীর। তাঁরা প্রত্যেকেই গাড়ির ভিতরে ছিলেন। শুক্রবার সকালে ৫ জনেরই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং শনিবার রুদ্রপ্রয়াগের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একথা জানানো হয়। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল এই উদ্ধারকার চালায়।
জানা গিয়েছে, গাড়িটি (UK07 TB 6315) সোনপ্রয়াগের দিকে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতেই তারসালি এলাকায় ধস নামে। এই ধসের জেরে হাইওয়ের প্রায় ৬০ মিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এবং রাস্তায় পাথরের স্তূপও তৈরি হয়ে যায়। সেই সময়ে ওই তীর্থযাত্রী বোঝাই গাড়িটি কেদারনাথের (Kedarnath) দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে পাথর মাটিতে এসে পড়তে থাকে। এতেই তীর্থযাত্রীদের গাড়ি চাপা পড়ে যায় (Kedarnath)। মৃত্যু হয় ৫ জনেরই। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন গুজরাটের বাসিন্দা এবং বাকি দুজন হরিদ্বারের বাসিন্দা। উত্তরাখণ্ডের ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয় উদ্ধার কাজ চালাতে। এই উদ্ধার কার চালাতে জেসিবি পর্যন্ত নামাতে হয়। এবং বড় বড় পাথরের খণ্ডগুলিকে সরানোর কাজ চলতে থাকে। দেখা যায় একটি ‘সুইফট কার’ ভিতরে চাপা পড়ে রয়েছে। শনিবার সকালেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বিপর্যয়গ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে রাস্তাতে যান চলাচলের ব্যবস্থা করতে বলেন।
এই দুর্ঘটনার কারণে গুপ্তকাশি থেকে গৌরিকুণ্ডের হাইওয়ে দীর্ঘক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় (Kedarnath)। রাস্তা সারাইয়ের কাজ তারপর থেকেই শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। প্রসঙ্গত, বর্ষার পর থেকেই বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের। সেখানে হড়পাবান, মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির খবর তো মিলছেই এবং কিছুদিন অন্তর অন্তর একাধিক জেলায় লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করতে হচ্ছে প্রশাসনকে বৃষ্টির কারণে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় যান চলাচলও বন্ধ থাকছে বৃষ্টির কারণে ধস নামায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।