হিমাচলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি
বিপর্যস্ত হিমাচল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত তিনদিনে কম করে ৭১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। অতিভারী বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) এখনও পর্যন্ত ১৩ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে রাজ্যের প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এই বিপর্যয়কে ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন। বৃষ্টি, ভূমিধস, হড়পাবান, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে নাজেহাল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মানুষ। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। বর্ষার পর থেকেই হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। গত রবিবার থেকে একনাগারে বৃষ্টি শুরু হয় রাজ্যে এবং পাশাপাশি চলতে থাকে ভূমিধস।
পরিসংখ্যান বলছে, বিগত তিনদিনে বৃষ্টির কারণে ১ হাজার ২২০ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছরের মরশুমে ১৭০টি মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে ৯,৬০০ বাড়ি ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে সে রাজ্যের কৃষ্ণনগর, সামার হিল এই সমস্ত এলাকাতে ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়েছে ভূমিধসের কারণে। রবিবার রাতেই উদ্ধার হয় ৫৭টি মৃতদেহ। ১৭ অগাস্ট রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে সরকার (Himachal Pradesh)।
জানা গিয়েছে, ভাকরা এবং পঙ-ড্যাম এই বাঁধগুলিও খুলে দেওয়া হবে আগামী চার পাঁচ দিনের জন্য। কারণ অতি ভারী বৃষ্টির কারণে ব্যাপক চাপ পড়ছে এগুলোতে। বেড়ে গেছে জলস্তর। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত বাঁধগুলির জল ছাড়ার ফলে পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় আমাদের। কিন্তু চলতি বছরে তা যেন পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন চলতি বছরে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে একাধিক সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে সে রাজ্যে। বাড়িও তলিয়ে গেছে জলোর তোড়ে। এই সময়ে রাজ্যে খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। বিপর্যস্ত ফতেপুর অঞ্চলে ৫৩৯ জনকে রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে (Himachal Pradesh)। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আকাশ পথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। নিম্নবর্তী অঞ্চল গুলি থেকে প্রায় ৮০০ মানুষকে সরানো হয়েছে কাংড়া জেলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ-এর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, মঙ্গলবারই বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং হিমাচল প্রদেশের সরকার একসঙ্গে চেষ্টা করছে সমস্ত রকম ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার।’’ এনডিআরএফের পাশাপাশি ভারতীয় বিমান বাহিনীও প্রয়োজন মতো কাজ চালাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।