নাগপুরে গতকাল পারদ পৌঁছায় ৫৬ ডিগ্রিতে, হতবাক হাওয়া অফিসের কর্তারা..
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহের তাণ্ডব (Heat Wave)। ইতিমধ্যে ব্যাপক গরমের দাপটে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। সবথেকে আশ্চর্যজনক তথ্য, গত ৩৬ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫-এ। এরমধ্যে পশ্চিম ওড়িশাতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১৬। বিহারে ৫, রাজস্থানের ৪ এবং পাঞ্জাবে তাপপ্রবাহে মারা গিয়েছেন একজন। তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুর ইস্যু পৌঁছে গেল আদালতেও। রাজস্থানের আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘‘গরম থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। তাপপ্রবাহের আকারে আবহাওয়ার এই চূড়ান্ত পরিস্থিতির কারণে, এই মাসে প্রায় একশো মানুষ মারা গেছে। আমাদের কোনও প্ল্যানেট B নেই, যেখানে আমরা স্থানান্তর হতে পারি। এখনই আমরা কোনও কড়া ব্যবস্থা না নিলে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফুটে উঠতে দেখার সুযোগ হারাব।’’
ইতিমধ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে কেরলে। তবুও অসহ্য গরমে ঝলসে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ রাজ্য। সম্প্রতি দিল্লিতে তাপমাত্রা পারদ চড়েছিল ৫২.৯ ডিগ্রিতে। সেই রেকর্ডকেও ভেঙে দেয় শুক্রবার নাগপুরের তাপমাত্রা। সেখানে গতকাল তাপমাত্রার পারদ পৌঁছায় ৫৬ ডিগ্রিতে। তবে গত বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রির ওপরে (Heat Wave) পৌঁছানোর পরেই বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ দেখা দেয়। সেই সময়ে আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটা হতে পারে। কারণ অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশনগুলি ৩৮ ডিগ্রি ওপরে তাপমাত্রা চলে গেলে ঠিকমতো কাজ করে না তাই তথ্য বিকৃতি হতেই পারে।
এক্ষেত্রে হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, যে মেশিন ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ AWS sensor, তা ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে আমদানি করা হয়। সেখানকার তাপমাত্রা এতটা ওপরে ওঠে না। তাই স্বাভাবিকভাবে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই মেশিন ভুলভাল তথ্য দেখাতে (Heat Wave) থাকে।
জুন মাসের প্রথম চারদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস আগেই মিলেছিল। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার, কোথাও ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার হলুদ সতর্কতাও রয়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি, এই ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জানা গিয়েছে, ১০ জুনের মধ্যে বাংলায় পা রাখতে চলেছে বর্ষা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।