১৯৯৩ সালে মুম্বইতে একাধিক বোমা হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় আবু সালেম।
আবু সালেম
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবু সালেমকে (Abu Salem) ২৫ বছরের বেশি জেলে রাখা যাবে না। সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ২০০২ সালে পর্তুগাল (Portugal) আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল আবু সালেমকে ২৫ বছরের বেশি জেলে রাখা হবে না। সেকথাও এদিন স্মরণ করিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে সেই প্রতিশ্রুতির সম্মান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, ২৫ বছরের জেলের পরে কেন্দ্র রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারে যাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ
১৯৯৩ সালে মুম্বইতে একাধিক বোমা হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় আবু সালেম। বোমা হামলার আগে গুজরাট থেকে মুম্বইতে অস্ত্র পাঠিয়েছিল আবু সালেম। সালেম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পর্তুগালের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ভারত। শেষে ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর তাঁকে পর্তুগাল থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। তখনই ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani) পোর্তুগাল সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আবু সালেমকে যেই সাজাই দেওয়া হোক না কেন তা ২৫ বছরের বেশি হবে না। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছে সালেম। সে জানিয়েছে ২০৩০ সালেই তার সাজা শেষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ও এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, "ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের ৭২ নম্বর ধারা মেনে চলার পরামর্শ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ২৫ বছরের সাজা শেষের এক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমা করতে হবে। এমনকী কেন্দ্র চাইলে ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে এই এক মাসও মকুব করতে পারে।"
সালেমের আইনজীবীর তরফে আবেদন করা হয়েছিল পর্তুগালে যতদিন জেলে ছিলেন আবু সালেম সেটাকেও যেন জেলবাসের মধ্যে ধরা হয়। তবে এই আবেদন মানতে চায়নি সুপ্রিমকোর্ট। আদালত জানিয়েছে ২০০৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২৫ বছর কারাদণ্ডের সময় গণনা করা হবে।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও অন্য একটি মামলায় আবু সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ টাডা আদালত। ১৯৯৫ সালে মুম্বইয়ের নির্মাণ ব্যবসায়ী প্রদীপ জৈন ও তাঁর চালক মেহেদি হাসানকে খুন করার জন্য়ও তাকে সাজা পেতে হয়।