৭ ডিসেম্বর থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে সঙ্ঘের ছাত্র শাখার জাতীয় সম্মেলন...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৬৯তম সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলতি বছরে দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর থেকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিবছরই এবিভিপি তাদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে প্রফেসর 'যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার' প্রদান করে। প্রসঙ্গত, যশবন্তরাও কেলকর ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অন্যতম স্থপতি। তাঁর সম্মানে সমাজ ও দেশের কাজে অবদান রাখা যুবদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। চলতি বছরের 'যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন সাংবাদিক রজত শর্মা। ২০২৩ সালে পুরস্কার প্রাপকদের জন্য এবিভিপি (ABVP) নেতৃত্বের তরফে বাছা হয়েছে তিনজনকে। তাঁরা হলেন শ্রী শরদ বিবেক সাগর, সুশ্রী লাহারি বাঈ পডিয়া এবং বৈভব ভান্ডারি। প্রত্যেকের হাতেই তুলে দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার, শংসাপত্র এবং স্মারক। ১৯৯১ সাল থেকে দেওয়া হয় 'যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার'।
বিহারের ছোট্ট গ্রাম জিরাদেই-এর বাসিন্দা শরদ বিবেক সাগর। ছোট থেকেই রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবধারায় অনুপ্রাণিত শরদ সমাজের জন্য কিছু কাজ করার কথা চিন্তা করেন। এর পরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Dexterity Global. তাঁর এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রদের কোচিং করান এবং প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে কাজের পরিধিতে প্রায় ৭০ লাখ যুব নাগরিকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে তাঁর এই সংস্থা। দেশ বিদেশের প্রায় ৫০০-এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কলারশিপও পেয়েছেন। চলতি বছরে তিনি 'যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার' (ABVP) পাচ্ছেন।
মধ্যপ্রদেশের দিন্দোই জেলা থেকে সুশ্রী লাহারি বাঈ পডিয়া চলতি বছরের 'যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার' (ABVP) পাচ্ছেন। তাঁর কাজ মূলত বাজরা জাতীয় শস্যের ওপর। তাঁকে 'মিলেট অ্যাম্বাসাডর' বলেও অভিহিত করা হয়। স্বাস্থ্যের উপর কাজ করা এই সমাজকর্মী দিকে দিকে বার্তা ছড়িয়ে দেন পরিবেশ রক্ষার, সুস্বাস্থ্য এবং নিত্যদিনের ডায়েটের বিষয়ে। চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর কাজের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে মিলেছে পুরস্কারও। 'মিলেট কুইন' নামেও পরিচিত তিনি। ১৫০-এরও বেশি বাজরার বীজ ব্যাঙ্কের মালিক তিনি।
অন্যদিকে রাজস্থানের পালির বাসিন্দা বৈভব ভান্ডারী আইনের রিসার্চ স্কলার। দিব্যাঙ্গদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর উপর কাজ করেন তিনি। এর পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাতে তাঁর কাজের জন্য ২০০৭ সালে রাজস্থান সরকারের কাছ থেকে মিলেছে পুরস্কার। রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর হাত থেকেও জাতীয় স্তরের পুরস্কার নিয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।