সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই চারটি ওষুধ, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে বিক্রি হয়েছে।
Cough Syrups
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে কাশির সিরাপগুলোকে (Cough Syrups) নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলো ভারতে বিক্রি হয়নি। হরিয়ানার ওষুধ প্রস্তুরকারী সংস্থার তৈরি করা কাশির সিরাপগুলোকে ‘হু’ থেকে নিষেধ করার পর থেকেই কেন্দ্র সরকার অবিলম্বে এই ওষুধগুলোকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই এর উপর তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যানডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই সিরাপগুলির (Cough Syrups) একটিও ভারতে বিক্রি হয় না। শুধুমাত্র রপ্তানির জন্যই এই ওষুধগুলি তৈরি করা হয়। এই চারটি ওষুধ, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে বিক্রি হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওষুধগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের আধ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিডিএসসিও। হরিয়ানার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার’-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সংস্থাটি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ (Cough Syrups) পাঠিয়েছে। ভারতের কোথাও এই চারটি কাশির ওষুধের (Cough Syrups) একটিও বিক্রি করা হয় না।
আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র
অন্যদিকে মেডেনের ডিরেক্টর নরেশ কুমার গয়াল বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কথা শুনেছে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। আমরা এই ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি কারণ এটি শুধুমাত্র আজই হয়েছে। আমরা ক্রেতাদের এবং ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা ভারতে কিছু বিক্রি করছি না।" এই সংস্থা থেকে আরও জানানো হয়েছে, তাদের সংস্থার তৈরি করা ওষুধ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশে রপ্তানি করা হয়। যদিও তারা বর্তমানে ভারতে বিক্রি করছে না। আবার এই পরিস্থিতিতে মেডেনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই সংস্থার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন (Promethazine Oral Solution), কোফেক্সম্যালিন বেবি কাফ সিরাপ (Kofexmalin Baby Cough Syrup), ম্যাকফ বেবি সিরাপ ( Makoff Baby Cough Syrup) এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ (Magrip N Cold Syrup)-এই চারটি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। কারণ, এগুলিতে (Cough Syrups) রয়েছে ডাইইথিলিন গ্লাইসল ও ইথিলিন গ্লাইসল। যা শরীরে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, এমনকি কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। যার জন্য শিশু মৃত্যুর পেছনে এই ওষুধগুলো রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ‘হু’ (WHO)।