তদন্তে ১১ টি দেশের তদন্তকারী সংস্থার থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেবি
আদানি (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টকে সেবি জানিয়ে দিল যে হিন্ডেনবার্গ মামলায় (Adani Hindenburg) তদন্ত শেষ করতে তাদের এখনও ১৫ দিন সময় লাগবে। এবং এরপরই এ নিয়ে তারা রিপোর্ট জমা দিতে পারবে। সেবির আরও দাবি যে তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের জন্য আদানি গ্রুপের ২৪টি লেনদেন প্রক্রিয়াকে বাছা হয়েছে (Adani Hindenburg), যার মধ্যে সেবি এখনও পর্যন্ত ১৭টি লেনদেনের তদন্ত সম্পূর্ণ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছে। জানা গিয়েছে এই তদন্তে ১১ টি দেশের তদন্তকারী সংস্থার থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেবি।
প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে (Adani Hindenburg) কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল ভারতের আদানি গ্রুপকে। জানা গিয়েছে চলতি বছরের ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে নির্দেশ দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ মামলার তদন্ত করার জন্য। পরবর্তীকালে গত ২৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানায় যে আরও সময় লাগবে, কারণ এই মামলায় সবদিক খতিয়ে দেখেতে বেশ কিছুটা সময় লাগার কথা। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তখন তিন মাস সময় দিয়েছিলেন সেবিকে (Adani Hindenburg)। নির্দেশে বলা হয় তাদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তিনমাসেই জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৯ অগাস্ট। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানিয়ে দিল আরও ১৫ দিন সময়ের কথা। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে, এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেমন তদন্ত করছে তার ওপর নজরদারি চালানোর জন্য। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এএম সাপ্রে, বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জেভি দেভাধর, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওপি ভাট, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান কেভি কামাথ, ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি ও নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সোমশেখর সুন্দরেশান।
প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে (Adani Hindenburg) কার্যত খারিজ করে দিয়েছে আদানি গ্রুপ। এবং তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি যে একেবারে ছক কষে এ সমস্ত কিছু করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আদানি গ্রুপের কর্ণধার এও জানান যে এটা ভারতের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে, কোনও নির্দিষ্ট কোম্পানির উপর নয়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাসের শেষের দিকে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে (Adani Hindenburg) দাবি করা হয়েছিল বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এবং বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হতো।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।