বনদফতরের মতে, চিতা শিকার করছে মানেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।
আফ্রিকার চিতা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বরেই আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আনা হয়েছে দুটি চিতা (African Cheetah)। ৮০ বছর পর ভারতের মাটিতে পা রেখেছে চিতা। প্রথমে দুমাসের জন্যে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিতল হরিণ শিকার করল দুই চিতা। চিতা দুটির নাম ফ্রেডি ও এলটন। এই দুই পুরুষ চিতা আদতে সহোদর। ৬-৭ নভেম্বরের মধ্যে তারা একটি চিতল হরিণ বা স্পটেড ডিয়ার শিকার করেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকালের মধ্যে চিতাদুটি ওই শিকার করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনদফতর।
এই খবরে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বরেই চিতাদুটিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। একটি ট্যুইটের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "বিরাট খবর! আমাকে জানানো হয়েছে যে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শেষে দুটি চিতাকে বৃহত্তর বনাঞ্চলে ছাড়া হয়েছে। অন্যান্য চিতাগুলোকেও খুব শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে। আমি খুব আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে সমস্ত চিতারই স্বাস্থ্য ভালো আছে। তারা রীতিমতো সক্রিয়। আর, পরিবেশের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।"
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বনদফতরের মতে, চিতা শিকার করছে মানেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। আর, চিতাগুলোর পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও সঠিক পথেই চলছে। এই ব্যাপারে বন দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "প্রত্যাশাতীতভাবে মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিতাগুলো প্রথমবার শিকার করল। যার অর্থ চিতাগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। চিতাগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না, এই চিন্তা এবার দূর হল।"
আফ্রিকা থেকে দীর্ঘ ৮ হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ভারতে এসেছে আটটি চিতা। নামিবিয়ার সঙ্গে ভারতের জলবায়ুর বিস্তর পার্থক্য। চিতাগুলোর কাছে তাই ভারতের পরিবেশ নতুন। বাস্তবে, বিশ্বে এই প্রথমবার বড় আকারের মাংসাশী প্রাণী চিতাকে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর থেকে ওই চিতাগুলোকে দীর্ঘদিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন চিতাগুলো মোষের মাংস খাচ্ছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।