কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের কেন প্রয়োজন ছিল, বোঝালেন অমিত শাহ, কী বললেন তিনি?...
অমিত শাহ (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছিল। এরপর থেকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে উপত্যকায়। শনিবারে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ৩০ বছর পরে জন্মাষ্টমী পালন হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের লাল চৌকে। পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভূস্বর্গ ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে। প্রসঙ্গত ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।
রবিবারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজির ছিলেন ভোপালে 'প্রবুদ্ধ জনসম্মেলন' নামের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যখন আমি একজন পার্টির সাধারণ কর্মী ছিলাম প্রথম দিকে, তখন আশ্চর্য হতাম ৩৭০ ধারা সরানোর কথা ভাবলে। কিন্তু ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দিতে পেরেছে। একই দেশে দুটো সংবিধান চলতে পারে না, দুজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না এবং দুটি পতাকাও থাকতে পারে না। ৭০ বছর ধরে কংগ্রেসের তোষণনীতির কারণে ৩৭০ ধারা টিকে ছিল। ধারা ওঠার পরেই, ৩০ বছর পরে লাল চৌকে ফের জন্মাষ্টমী পালন হয়।’’
এর পাশাপাশি অমিত শাহ (Amit Shah) আরও জানিয়েছেন যে জাতপাতের রাজনীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণ নীতি এবং দুর্নীতির ফাঁদে পড়েছিল দেশ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমস্ত অপশক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে সেই খাত থেকে দেশকে টেনে এনেছেন। এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘আমরা মহাভারতে দেখেছিলাম, সেখানে পাণ্ডব পক্ষ ছিল একদিকে, অপরদিকে ছিল কৌরব পক্ষ। বর্তমানেও দেশে একদল গ্রুপ আছে যেটি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে চলছে এবং অপরদিকে একটি জোট আছে যেটা চালাচ্ছে সাতটা পরিবার একসঙ্গে।’’ এদিন ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা শানিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘তারা কখনও চায় না একজন গরিব পরিবার থেকে কেউ উঠে এসে প্রধানমন্ত্রী হোক। এ বিষয়ে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সোনিয়া গান্ধী চান তাঁর ছেলে রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোক। শরদ পাওয়ার চান তাঁর মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান তাঁর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হোক। লালু যাদব চান তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হোক।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।