মহারাষ্ট্রে গোহত্যাকে অপরাধ বলে গণ্য় করা হয়।
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১০টি গরুর। এদের মধ্যে চারটি গরু গর্ভবতী ছিল। অভিযোগ মহারাষ্ট্রের জালনায় একটি গোশালাতে তড়িদাহত করে ১০টি গরুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় লতিফ শেখ নামে এক মুসলিম ব্যক্তি। ওই গোশালায় ১৯টি গরু ছিল। এরা সকলেই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় দুধের জোগান দিত।
Maharashtra: #LatifSheikh killed 10 #cows in a temple’s gaushala, by electrocuting them in Jalna.
— Organiser Weekly (@eOrganiser) August 31, 2022
4 of the 10 dead cows were pregnant. The temple gaushala had 19 cows and 6 calves which were regularly fed by the villagers.
(Representative Pic) pic.twitter.com/33dSnhW7Vp
সম্প্রতি কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে এক ব্যক্তি নাইট্রেট মেশানো সবুজ বাজরা খাইয়ে ৬১টি গরুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। মহম্মদ তাহির নামে এক খাদ্য বিক্রেতাকে এই অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের আম্রোহা জেলার সানতালপুর গ্রামে। এই ঘটনার পর পালিয়ে যায় মহম্মদ তাহির। তাকে আদমপুর অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে খুঁজে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পুলিশ।
এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী গুলাবো দেবী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইনে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই ধরনের খাদ্য যাতে গোশালায় ব্যবহার না করা হয় তার দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী।
এবার উত্তরপ্রদেশের পর মহারাষ্ট্রে গো হত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। এমনিতেই মহারাষ্ট্রে গোহত্যাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। বিজেপি-শিবসেনা পরিচালিত সরকার গো হত্যাকে কার্যত নিষিদ্ধ করেছে মহারাষ্ট্রে। অনুমতি ছাড়াই জবাই করার জন্য গরু বিক্রি ও গো মাংস বিক্রির করলে জরিমানার নির্দেশও রয়েছে। ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। পাঁচ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ফিট টু স্লটার সার্টিফিকেট নেওয়ার পরে গরু কাটা যেতে পারে। সেখানে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট করে গো হত্যার বিচার চাইছে সাধারণ মানুষ থেকে পশুপ্রেমীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।