নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশে খাদ্যশস্য রফতানিতে জোর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যার জেরে দেশের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিনির রফতানিতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও কয়েকটি পণ্য। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, রফতানি করা যাবে না ময়দা (maida), হোলমিল আটা (wholemeal atta), রেজাল্টট্যান্ট আটা (ময়দা-সুজি তৈরির পর পরে থাকা আটা)। নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে। এই সব পণ্যের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (DGFT)।
আরও পড়ুন: এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের
দফতর সূত্রে খবর, DGFT গত ৬ জুলাই এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব সংস্থা তালিকাভুক্ত পণ্য রফতানি করে বা তালিকাভুক্ত পণ্য বিক্রি করে, তারা বিদেশে এই সব পণ্য রফতানি করতে চাইলে ডিজিএফটির (DGFT) আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি মিললে তবেই সেই পণ্য রফতানি করতে পারবে কোনও ভারতীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয়বার বিয়ে, এবার পাত্রী ৩২ বছরের কন্যা
গত ১৪ মে ভারত সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে কোনও দেশের খাদ্য সুরক্ষার (Food Security) প্রশ্নে গম পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছিল ভারতের তরফে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম যাতে না বাড়ে এবং প্রবল গরমে যদি গম উৎপাদন ধাক্কা খায় তা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম রফতানিকারক। ফলে এই সিদ্ধান্তে চাপে পড়েছিল বিশ্বের একাধিক দেশ, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশও। ভারত রফতানি বন্ধ করতেই সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব বাজারে লাফিয়ে বেড়েছিল গমের দাম।