Jharkhand Tiger: রাজ্যপাট 'ঝাড়খণ্ডের বাঘ' চম্পাই সোরেনের হাতে! কেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা হল না কল্পনার?
চম্পাই সোরেন ও হেমন্ত সোরেন।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিক চললে, ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। অন্তত এখনও পর্যন্ত এমনটাই খবর। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে বুধবার রাতে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্ত ইস্তফা দিতেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়করা মন্ত্রিসভার প্রবীণ মন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করেন। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রিসভায় পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন চম্পাই (Champai Soren)। তার সঙ্গেই তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীও তিনি। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) ভাইস প্রেসিডেন্ট।
১৯৫৬ সালের নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের সেরিকেলা-খারসাওয়ান জেলায় জিলিনগোড়া (Jilinggora) গ্রামে জন্ম চম্পাই সোরেনের। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাইয়ের পদবী সোরেন হলেও তিনি শিবু সোরেনের পরিবারের কেউ নন। বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ডকে আলাদা রাজ্য করার যে আন্দোলন তাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল এই চম্পাই সোরেনের। ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে চম্পাইয়ের ভূমিকা এতটাই দাপুটে ও উগ্র ছিল যে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের বাঘ (Jharkhand Tiger) বলা হয়। ২০০৫ সালে বিজেপির লক্ষ্ণণ টুডুকে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে সেরিকেলা (Serikela Assembly) বিধানসভা থেকেই জিতেছেন। দলের প্রবীণ বিধায়ক ও বহুদিনের লড়াকু নেতার উপরই আস্থা রাখছে জেএমএম।
আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন
লালু-রাবড়ী মডেল বাস্তবায়িত হল না ঝাড়খণ্ডে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন। জেএমএম সূত্রের খবর, ঝাড়়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। যদিও এখনও রাজ্যপাল তাঁকে ডাকেননি। সূত্রের দাবি, চার দলীয় বিধায়কের আপত্তিতেই নিজের স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি হেমন্ত। সেই ‘বিদ্রোহী’ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন হেমন্তেরই বৌদি তথা জেএমএম বিধায়ক সীতা সোরেন। দুমকা জেলার জামা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক সীতা জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী। হেমন্ত সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে দুর্গাই ছিলেন শিবুর রাজনৈতিক সহকারী। বিধানসভাতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে দুর্গার মৃত্যুর পরে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন সীতা। রাজনীতিতে আসা ইস্তক বহুবার হেমন্তের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। মন্ত্রী না করায় দীর্ঘ দিন ধরেই হেমন্ত গোষ্ঠীর উপর ক্ষুব্ধ সীতা। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রভাবশালী বিধায়ক চামরা লিন্ডাও। মূলত সীতার আপত্তিতেই বনবাস কল্পনার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ