তেহারি গাড়ওয়াল, মুসৌরির ল্যান্ডৌর বাজার, নৈনিতালের লোয়ার মল রোড, রুদ্রপ্রয়াগের অগস্ত্যমুনি ব্লকের ঢালীমঠ বস্তি এবং গুপ্তকাশী শহরের মাটিতে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে
পার্বত্য হিমালয়ের কোলে জোশীমঠ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে জোশীমঠের (Joshimath) বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়, যার ফলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র শহরে। কমবেশি ৯০০ এর বেশি বাড়িতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায় এই ফাটল। প্রশাসনিক উদ্যোগে সরানো হয় বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের। সরকার থেকে ২০০ এর বেশি ঘর বরাদ্দ করা হয়। জোশীমঠের (Joshimath) এই পরিস্থিতির রেশ কাটতে না কাটতেই হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের বেশ কিছু শহরে এবং পর্যটন কেন্দ্রে ফাটল দেখা দিচ্ছে বলে কিছু সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
জোশীমঠের (Joshimath) ফাটলের সঙ্গেই পার্শ্ববর্তী কর্ণপ্রয়াগের বহুগুণা নগরের ফাটলের ঘটনা সামনে আসে। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই সমস্ত শহরগুলিতে শুধুমাত্র ভ্রমণপ্রিয় মানুষদেরই ভিড় দেখা যায় এমন নয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অসংখ্য তীর্থস্থান রয়েছে হিমালয়ের পার্বত্য উপত্যকায়, যেখানে সারাদেশ তথা বিশ্বের পুণ্যার্থীরা ভিড় করে সারা বছর ধরেই।
ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি যেভাবে পুরী, ভাইজ্যাগ, গোয়া ঘুরতে যায় একইভাবে বারাণসী, হরিদ্বার, ঋষিকেশ, গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ প্রভৃতি তীর্থস্থানগুলিতেও সারাবছর ধরে যাওয়া আসা চলতে থাকে বাঙালির।
পার্বত্য অঞ্চলের এই সমস্ত স্থানগুলো যেমন কর্ণপ্রয়াগ, উত্তরকাশী, মুসৌরির মতো শহরে শীতের সময় তাপমাত্রা শুন্যের কাছাকাছি নেমে যায় আবার কোথাও কোথাও বরফপাত দেখতে শীতেও ভিড় জমায় বাঙালি। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে নৈনিতালের এবং মুসৌরীর বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। নৈনিতালে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। শহরগুলোতে ব্যাপকভাবে নির্মাণ কাজ এখনও চলছে এবং শহরের উপর জনসংখ্যার চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মাটির ধারণক্ষমতা যাচাই না করে ভারী নির্মাণ কাজ চালালে এমন ভূমি ধসের ঘটনা ঘটবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তেহারি গাড়ওয়াল, মুসৌরির ল্যান্ডৌর বাজার, নৈনিতালের লোয়ার মল রোড, রুদ্রপ্রয়াগের অগস্ত্যমুনি ব্লকের ঢালীমঠ বস্তি এবং গুপ্তকাশী শহরের মাটিতে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানকার বেশকিছু বাড়িঘর, দোকানপাটে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তাঁরা ভাবছেন যে এই সমস্ত জায়গাগুলির পরিণতি জোশীমঠের মতো হবে কিনা। প্রসঙ্গত, শিখদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হেমকুণ্ড সাহিব রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। যা যেতে হয় জোশীমঠের (Joshimath) পথ ধরে। এই পরিস্থিতিতে সেই তীর্থক্ষেত্রে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
Tags: