Manish Sisodia: বিশেষ করে দিল্লি সরকারের ৩৩ টি বিভাগের মধ্যে সিসোদিয়ার হাতে ছিল ১৮টি।
মণীশ সিসোদিয়া - সত্যেন্দ্র জৈন (Manish Sisodia)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন আবগারি মামলায় ধৃত দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)৷ একইসঙ্গে মঙ্গলবার দিল্লি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন জেলবন্দি আরেক আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন৷ ফলে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়ায় বিশাল সঙ্কটে পড়েছে আপ সরকার। তাঁদের পরিবর্তে এখন কাদের একাধিক দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, আপাতত দুই মন্ত্রীর যাবতীয় দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে কৈলাশ গেহলট ও রাজ কুমার আনন্দের মধ্যে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডান ও বাম হাত হিসাবেই পরিচিত ছিলেন এই দুই নেতা (Manish Sisodia)। ফলে তাঁদের ইস্তফায় অস্বস্তি বাড়ল আপ সরকারের। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় একাধিক দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা, এখন কাদের কোন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হবে, এই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো-আতঙ্কে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক চালু
বিশেষ করে দিল্লি সরকারের ৩৩ টি বিভাগের মধ্যে সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) হাতে ছিল ১৮টি পদ। অর্থ দফতর ও শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সিসোদিয়া৷ সত্যেন্দ্র জৈন ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সিসোদিয়ার অবর্তমানে এই অর্থ বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন কৈলাশ গেহলট। এর পাশাপাশি তাঁকে শক্তি, জলবিভাগ, নগরান্নয়ন, স্বরাষ্ট্র, সেচ বিভাগের সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। অন্যদিকে রাজ কুমার আনন্দকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি জমি, পর্যটন, সংস্কৃতি ও ভাষা, শ্রম, কর্মসংস্থানের মত বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বও পালন করবেন। এমনটাই আম আদমি পার্টি সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় রবিবারই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)৷ এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খান তিনি। সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলা শুনতে রাজি হলেন না প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এ ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই ইস্তফা দেওয়ার মত বড় সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অন্যদিকে গত বছরের মে মাসে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। তিনি বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।