img

Follow us on

Tuesday, Jan 21, 2025

Air Defence System: দেশের আকাশসীমাকে নিশ্ছিদ্র করাই লক্ষ্য, একযোগে কাজ করবে স্থল এবং বায়ুসেনা

Indian Army and IAF: এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমই নয়া হাতিয়ার! স্থল এবং বায়ুসেনার নতুন কৌশল সম্পর্কে জানুন...

img

আকাশ প্রতিরক্ষায় নজর ভারতের। সংগৃহীত চিত্র

  2025-01-20 17:39:34

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সশস্ত্র বাহিনীর দুই শাখা, স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার সমন্বয় নিবিড় করার চেষ্টা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চিন, পাকিস্তান এবং সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সঙ্গেও মতানৈক্য, তাই সীমান্তে সদা সতর্ক ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতকে বিপাকে ফেলতে শত্রুসেনার বিমান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র এমনই গুরুত্বপূর্ণ নিশানা বেছে নিতে পারে। আর তা মাথায় রেখেই এ বার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Air Defence System) ঢেলে সাজাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই দুই বাহিনীর সমস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলিকে আনা হচ্ছে, ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (আইএসিসিএস) নামে পরিচালন ব্যবস্থার অধীনে। ইতিমধ্যেই সেই একত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বলে খবর।

সেনার পাশে বায়ুসেনা

ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পদাতিক বাহিনী। শক্তির দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার যুবক দেশের সবাই নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। কারণ পেশা হিসেবে তাঁরা বেছে নেন সেনার চাকরিকেই।‌ কর্তব্য নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং শৌর্য। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হন তাঁরা। দুর্গম কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহ থেকে অরুণাচলের চিন সীমান্ত। আবার অন্যদিকে, রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকেও সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর মতো বিরাজমান ভারতীয় সেনা। ‌শুধু যুদ্ধ‌ কিংবা সীমান্ত সুরক্ষায় নয়। বিভিন্ন বিপর্যয় দুর্যোগে আক্রান্ত দেশবাসীর ত্রাতা হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনা।‌ এই অবস্থায় আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে সেনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে দেশের বায়ুসেনা।

তিন শাখার যৌথ পদক্ষেপ

সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার একত্রীকরণের (থিয়েটারাইজেশন) কথা ঘোষণা করেন। তাঁর মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নয়া ব্যবস্থায় রুশ এস-৪০০ থেকে ভারতীয় ‘আকাশ’ (ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র) পর্যন্ত সবই চলে আসবে আইএসিসিএস-এর নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যেই স্থলসেনার ‘আকাশতীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-এর (Air Defence System) ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী আকাশতীর-প্রসঙ্গের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘চলতি বছরের শেষেই একত্রীকরণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।’’

একই থিয়েটার কমান্ড গঠন 

বর্তমানে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার দেশজুড়ে পৃথক পৃথক কমান্ড রয়েছে। ‘থিয়েটারাইজেশন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হল তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের পরিবর্তে, একই থিয়েটার কমান্ড গঠন করা। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশে ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার। বাড়বে মারণক্ষমতাও। আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপের ফলে ‘জয়েন্ট এয়ার ডিফেন্স সেন্টার’ (জেএডিসি)-র মাধ্যমে আকাশতীর-সহ সশস্ত্র বাহিনীর রাডারকে একীভূত করা হবে।

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ত্রিশক্তি’! প্রথমবার একসঙ্গে কুচকাওয়াজ করবে সেনার তিন বাহু

আকাশতীর প্রকল্পে ভরসা

আকাশতীর প্রকল্পের (Air Defence System) অধীনে ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী একটি নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড কেন্দ্রে পরিণত হবে। এর ফলে আকাশতীর প্রকল্পের ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলতে পারবে। এ কারণেই এটিকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সমন্বিত ভবিষ্যৎ বলে মনে করা হয়। এর বিশেষ বিষয় হল তিনটি বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে এবং একসঙ্গে শত্রুকে আক্রমণ করতে পারবে। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বললে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর রাডারগুলিকে মাটিতে মোতায়েন করা হবে এবং আকাশতীর প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলিকে তাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাহিনী তার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস) ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকল্প আকাশতীরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে। এটি আকাশ থেকে ভূমিতে এবং স্থল থেকে আকাশে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে। তখন বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট শত্রুর দিকে দ্রুত আক্রমণ করবে এবং শত্রুকে আকাশেই ধ্বংস করবে।

এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চলমান প্রচেষ্টা

ভারতীয় বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনী তাদের বিমান প্রতিরক্ষা একীভূত করার প্রক্রিয়া (Air Defence System) শুরু করেছিল ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে। ২০২০ সালে, তৎকালীন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত বিমান প্রতিরক্ষা একত্রীকরণকে “লো হ্যাঙ্গিং ফল” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তখন আলাদা একটি আকাশসীমা প্রতিরক্ষা কমান্ড (Air Defence Command) গঠনের কথা উঠেছিল, তবে এখনও পর্যন্ত কিছু চূড়ান্ত হয়নি, কারণ থিয়েটার কমান্ড কনসেপ্ট এখনও কাজের মধ্যে রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশা, ২০২৫ সালেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Indian Air Force

IAF

India Army

air defence system

s-400


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর