গতকাল তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে আমেরিকার অর্থলগ্নিকারী সংস্থা ‘ওয়েলস ফার্গো’। ভারতীয় শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজ করতেন শঙ্কর...
এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানে সহযাত্রী এক বৃদ্ধা মহিলার গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগে চাকরি গেল শঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তির। আমেরিকার অর্থলগ্নিকারী সংস্থা ‘ওয়েলস ফার্গো’-র ভারতীয় শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজ করতেন শঙ্কর। এ দিন সেই সংস্থার তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে শঙ্করকে ছাঁটাই করার কথা জানানো হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের আচরণের বিষয়ে নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে তাদের। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ চূড়ান্ত অস্বস্তিকর। তাই ‘ওয়েলস ফার্গো’-র থেকে তাঁকে ছাঁটাই করা হল।
২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শঙ্কর মিশ্র মত্ত অবস্থায় তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন ও তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ করেন ৭০ বছর বয়সি এক মহিলা। টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে সরাসরি চিঠিও লেখেন তিনি। সেই চিঠিতেই গোটা ঘটনা বর্ণনা করেন অভিযোগকারিণী। সেই চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পরই বাড়ি ছেড়ে পালান শঙ্কর।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার
শঙ্করের বাবা দাবি করেন, এধরনের কাজ তাঁর ছেলের পক্ষে করা সম্ভব নয়। শঙ্কর মিশ্রের তরফে তাঁর আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঘটনার শিকার ওই মহিলাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে। আর প্রস্রাবের ঘটনার কোনও সাক্ষীও ছিল না। অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া এফআইআরএ বলা হয়েছে, ওই মহিলার কাছে গিয়ে কার্যত ভিক্ষা চেয়ে শঙ্কর আবেদন করেছিলেন যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের না করা হয়। এমনকী কেবিন ক্রিউদের সামেন শঙ্কর এই ঘটনার পর কেঁদেও ফেলেন বলে খবর। তিনি বহুবার ক্ষমা চান। মহিলার কাছে আবেদন জানান যে, তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী যেন এই ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত না হন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।