Airtel-Vodafone: টেলিকম সংস্থাগুলিকে বিরাট অঙ্কের জরিমানা দেশের শীর্ষ আদালতের….
সুপ্রিম কোর্ট। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড়সড় ধাক্কা খেল দেশের ২ বৃহত্তম বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। বিরাট অঙ্কের টাকা জরিমানার মুখে পড়ল এয়ারটেল ও ভোডাফোনের (Airtel-Vodafone) মতো সংস্থাগুলি। বুধবার এই টেলিকম সংস্থাগুলির অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ (এজিআর) বা সামঞ্জস্যপূর্ণ মোট রাজস্ব পুনরায় গণনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় এয়ারটেল, ভোডাফোন ইন্ডিয়া সহ একাধিক সংস্থাকে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আবার ২০২০ সালে নির্দেশ দেওয়া হয়, অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ বা এজিআর যদি ১০ বছর বা তার বেশি সময় বকেয়া থাকে তাহলে প্রতি বছর ৩১ মার্চের পর সেই অর্থের পরিমাণের উপরে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল টেলিকম সংস্থাগুলি। সেইসময় তাঁদের দাবি ছিল, লাইসেন্স ফি ও স্প্রেকট্রাম চার্জের হিসেব করা হয়েছিল, তাতে একটা বড় ভুল করেছে টেলিকমিউনিকেশন দফতর। এই বিপুল অর্থ দিতে হলে সংস্থাগুলিকে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, টেলিকম মন্ত্রক এয়ারটেল-ভোডাফোন (Airtel-Vodafone) সহ একাধিক টেলিকম সংস্থাকে মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এর মধ্যে এয়ারটেলের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৪৩,৯৮০ কোটি টাকা এবং ভোডাফোনের বকেয়া ছিল প্রায় ৫৮ হাজার ২৫৪ টাকা। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে এয়ারটেল তাদের আবেদনে দাবি করে, তাদের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকা। একই ভাবে ভোডাফোন দাবি করেছিল, ২১ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। এমনকী, আদালত (Supreme Court) এই বিপুল পরিমাণের টাকা টেলিকম সংস্থাকে জরিমানা স্বরূপ চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল সংস্থাগুলির তরফে। কিন্তু, টেলিকম সংস্থাগুলির সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের অনুরোধ ফেরাল ভারত, মার্কিন মুলুকে হচ্ছে না মোদি-ইউনূস বৈঠক
অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ হল, টেলিকম সংস্থা ও সরকারের মধ্যে রাজস্বের হিসেব। লাইসেন্স দেওয়া ও স্প্রেকট্রাম ব্যবাহার জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। টেলিকম মন্ত্রক সরকারের এই শেয়ারের হিসেব করে। টেলিকম সংস্থাগুলিতে ৩ মাসের মধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনেক দিন ধরে এজিআর-র হিসেব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও ২০১৯ সালে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রায় দিয়েছিল সরকারের পক্ষেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।