গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে ২৫ জুন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল ১৭ জুন বিতর্কিত বক্তৃতা করেন গওহর।
নূপুর শর্মা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আজমের দরগার ধর্মগুরু গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে। তাঁকে বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমের শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি
উদয়পুরে কানহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উদয়পুরের ঘটনার পরে সামনে আসে রাজস্থানের দরগা আজমের শরিফের (Ajmer dargah) কথা। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক বলে পরিচিত আজমের শরিফ। সূত্রের খবর ওই দরগার এক ধর্মগুরু সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মাথা কাটার স্লোগান তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দরগার গওহর চিস্তি বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। কানহাইয়া লালকে হত্যার আগে তিনি রিয়াজের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়।
এএসপি (additional superintendent of police) বিকাশ সগওয়ান জানান, গওহর চিস্তির বিরুদ্ধে ২৫ জুন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল ১৭ জুন বিতর্কিত বক্তৃতা করেন গওহর। তারপর ২৯ জুন রাজস্থান ছাড়েন তিনি। এদিন হায়দরাবাদ থেকে গওহর চিস্তি ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে প্রথমে জয়পুর বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে আজমেরের কিষাণগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত
পুলিশ সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ ধরে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন গওহর। তবে তিনি সফল হননি। তিনি প্রথমে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর পরে বিহারের পূর্ণিয়া এবং শেষে হায়দ্রাবাদে ছিলেন। গওহর মাঝেমাঝেই হায়দ্রাবাদের পাহাড়ি শরিফ দরগায় যেতেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর খোঁজ মেলে। উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লালকে ২৮ জুন নির্মমভাবে হত্যা করার পর, আজমের পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করে। বিতর্কিত স্লোগান তোলার অভিযোগে গওহর চিস্তির সঙ্গে উপস্থিত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দরগাহ থানার একজন কনস্টেবলের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, গওহর মানুষকে উস্কে দিয়েছিলেন। দেখা যায়, তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।