PM Kisan Yojana: জিহাদের জন্য জঙ্গি মডিউল তহবিল সংগ্রহ করেছিল পিএম কিষান যোজনা ব্যবহার করে?...
পিএম-কিষান প্রকল্পের প্রাপ্ত টাকা দিয়ে ভারতে নাশকতার ছক!। (ছবি— প্রতীকী।)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছিল আল কায়দা (Al Qaeda) প্রভাবিত জঙ্গি মডিউল। জিহাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা (PM Kisan Yojana) ব্যবহার করে! আদালতে এমনই জানাল দিল্লি পুলিশ।
সেপ্টেম্বরে আল-কায়দা প্রভাবিত জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এর মধ্যে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাঁচির চিকিৎসক ইশতিয়াকও। এই জঙ্গি মডিউলটি ভারতে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল। তদন্ত চলাকালীন দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দেয়, আল কায়দা-অনুপ্রাণিত এই মডিউলটি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার মাধ্যমে জিহাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল।
দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি পিএম-কিষান যোজনার সুবিধাভোগী ছিল। তারা জঙ্গি কার্যকলাপে সাহায্যের জন্য অস্ত্র কেনার উদ্দেশে অর্থ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের পিএম-কিষান যোজনার টাকা পাইয়ে দিতে যারা তাদের হয়ে ফর্ম পূরণ করে দিয়েছিল, তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সম্পর্কে তথ্য মিলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে। তাতে বলা হয়েছিল, ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত একটি চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী, যারা দিল্লিতে সমমনস্কদের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছিল, তারা জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল (PM Kisan Yojana)।
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক পুলিশ কর্তা বলেন, গ্রেফতারের পর (Al Qaeda) দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের তিহার জেলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। তবে নতুন প্রমাণ পাওয়ার পর এই সপ্তাহের শুরুতে আট অভিযুক্তকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পাতিয়ালা হাউস কোর্টের অতিরিক্ত সেশন জজ হরদীপ কৌর ১২ নভেম্বর এক নির্দেশিকায় বলেন, তদন্তকারী অফিসার একটি আবেদন করেছেন, যেখানে আটজন অভিযুক্তের জন্য ছ’দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছে। একজন সাক্ষী বলেছেন যে ষড়যন্ত্রে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে, এবং তাদের শনাক্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সাক্ষীর মতে, অভিযুক্তরা পিএম-কিষাণ যোজনা ব্যবহার করে জিহাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছিল, এবং অভিযুক্তদের পক্ষে যারা ফর্ম পূরণ করেছিল, তাদের শনাক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: “সত্য প্রকাশিত হচ্ছে”, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ফিল্মের প্রতিক্রিয়ায় বললেন মোদি
এই মামলায় প্রথম অভিযান চালানো হয় ২২ অগাস্ট। এই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ছ’জনকে (Al Qaeda)। এরা হল আনামুল আনসারি, শাহবাজ আনসারি, আলতাফ আনসারি, হাসান আনসারি, আরশাদ খান এবং বছর কুড়ির উমর ফারুক। জানা গিয়েছে, তারা রাজস্থানের ভিওয়াড়ির আজমেরি নাকা এলাকার সারে কালান কি পাহগাদিতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। প্রবীণ এক পুলিশ কর্তা জানান, দুই প্রশিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছিল। পুলিশ একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল, একটি রিভলভার, বিভিন্ন ক্যালিবারের ৬৬টি তাজা কার্তুজ, একটি হাতবোমা, একটি রিমোট কন্ট্রোল মেকানিজম, একটি হাতে তৈরি কার্বাইন এবং একটি ডামি ইনসাস রাইফেল উদ্ধার করেছে (PM Kisan Yojana)।
সেপ্টেম্বর মাসে রাঁচিতে চালানো হয় দ্বিতীয় অভিযান। সেখানে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। এরা হল, ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে ক্যাপ্টেন, মহম্মদ রিজওয়ান, মতি-উর-রহমান, মহম্মদ রহমানতুল্লাহ এবং ফয়জান আহমেদ। অভিযানের সময় একটি হাতে তৈরি এসএলআর, একটি হাতে তৈরি কার্বাইন এবং ৫.১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, ইশতিয়াকই এই জঙ্গি মডিউলের প্রধান। পুলিশ জানিয়েছে, ১১ অভিযুক্তই রাঁচির বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত নজরদারির সাহায্যে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন- হাসান ও আনামুল, জেলবন্দি আবদুল রহমান কাটকির সঙ্গে দেখা করতে জামশেদপুর সেন্ট্রাল জেলে একাধিকবার গিয়েছিল। আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তারা সেখানে গিয়েছিল।
অতিরিক্ত সেশন জজ হরদীপ কৌর বলেন, “আনামুল সিম কার্ড সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। তাই সে (Al Qaeda) হয়তো অন্য কাউকে তার জন্য সিম কার্ড জোগাড় করতে বলেছিল। সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা প্রয়োজন।” একজন সাক্ষী জানিয়েছেন, আনামুলের নির্দেশে উমর বোমা তৈরির জন্য আতশবাজি কিনেছিল। ওই সাক্ষী আরও জানিয়েছেন, জিহাদের জন্য যুবকদের নিয়োগ করার লক্ষ্যে অভিযুক্ত আনামুল বুদ কোকরা, চত্রা, বাঁশ জাদি এবং অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছিল। সে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তাদেরও শনাক্ত করা প্রয়োজন।
জানা গিয়েছে, ভারতের আল-কায়দা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউল পরিচালনা করতেন ইশতিয়াক। এই সুপরিকল্পিত নেটওয়ার্কের হদিশ মেলায় জানা গিয়েছে, এই মডিউল ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে কাজ করছিল। ইশতিয়াক রাঁচির একজন রেডিওলজিস্ট। ঝাড়খণ্ডের নাকাটা জঙ্গলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেখানে নতুন সদস্যদের অস্ত্র পরিচালনা ও আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল ভারতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইশতিয়াক রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত মডিউলের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছিলেন। তিনি একটা আত্মঘাতী দল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও (PM Kisan Yojana) তদন্তে জানা গিয়েছে (Al Qaeda)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।