img

Follow us on

Wednesday, Nov 13, 2024

Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

Supreme Court: আলিগড়় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কী হল?

img

আলিগড়় বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে ঐক্যমত হতে পারল না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (সংগৃহীত ছবি)

  2024-11-08 14:14:33

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল। সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। যদিও সাত সদস্যের এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি-সহ চার সদস্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের আগের রায় খারিজ করে দিয়েছেন।

ঠিক কী হয়েছে? (Aligarh University)

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের রায়টি লেখেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। অন্যদিকে, বিরুদ্ধমত পোষণ করে স্বতন্ত্র রায় দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতানুসারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা ফেরার পথ প্রশস্ত হলেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন বেঞ্চ নেবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। চারজন পক্ষে এবং তিনজন বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে না আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য তিন বিচারপতির আলাদা একটি বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই যাবতীয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাবে কি না। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংখ্যালঘু তকমা খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৮১-তে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে এই প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ চালু হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইন খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

সংখ্যালঘু তকমা পেলে কী সুবিধা মিলবে?

কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা পেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। যদিও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সংরক্ষণ নীতি মেনে চলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ স্কুল-কলেজের পড়ুয়ার জন্য সেখানে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। মোদি সরকার প্রথম থেকেই আলিগড় এবং দিল্লি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে 'সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান' তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়লেও মোদি সরকারের যুক্তি হল, এই তকমা অসাংবিধানিক। সংসদের আইনের মাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, পরে তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ তকমা দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে। তাছাড়া, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, সেখানে জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ থাকে না।

সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

এর আগে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাঁর সওয়ালে বলেন, "১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) প্রাক্- স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।"

আদালতের পর্যবেক্ষণ

এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "আদালতকে দেখতে হবে কে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনার নেপথ্যে কে আছেন। যদি দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠান নেপথ্যে সংখ্যালঘু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছিল, তাহলে ৩০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেতে পারে।" ১৯৬৭ সালের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতেই এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা পাঠালেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Supreme court

bangla news

Bengali news

Aligarh University


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর