অমরনাথ গুহা এলাকায় প্রচুর মেঘ জমেছিল...
ধ্বংসের ছাপ অমরনাথের সর্বত্র। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে (Cloudburst) বিধস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ (Amarnath)। মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৬ জন। খোঁজ নেই প্রায় ৪০ জনের। ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে (Pilgrims) উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের তাঁবু। দুর্ঘটনার জেরে আপাতত বাতিল করা হয়েছে তুষারতীর্থ যাত্রা। তবে এই বৃষ্টিকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলতে রাজি নয় আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, হড়পা বানের জেরেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। পাহাড়ের উঁচু ঢালে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হলে এক সঙ্গে প্রচুর জল গড়িয়ে পড়ে। একে হড়পা বান বলে। এদিনও হয়েছে তাই। সেই জলই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে অমরনাথ যাত্রার পুণ্যার্থী ও তাঁদের তাঁবু।
আরও পড়ুন : মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ, আপাতত স্থগিত যাত্রা
এই আবহ বিজ্ঞানী জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে ছটার মধ্যে ওই এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩১ মিলিমিটার। একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যায় না। কোনও একটি জায়গায় এক ঘণ্টায় যদি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তবে বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে বলা হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। অমরনাথ গুহার কাছেই রয়েছে একটি আবহাওয়া অফিস। তীর্থযাত্রার আগে আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয় এখান থেকেই। সেই মতো ব্যবস্থা করা হয় তীর্থযাত্রার। শ্রীনগরের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর সোনাম লোটাসের গলায়ও মহাপাত্রের কথার প্রতিধ্বনি। তিনি বলেন, শুক্রবারের ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে প্রচুর মেঘ জমে যাওয়ার জের। তিনি বলেন, শুক্রবার অমরনাথ গুহা এলাকায় প্রচুর মেঘ জমেছিল। তার জেরেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। তিনি জানান, চলতি বছরের গোড়ার দিকেও একবার এমন বৃষ্টি হয়েছিল।
অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন বেঁচে ফেরা যাত্রীরা?
তবে এই বৃষ্টির জেরে ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের তাঁবু, লঙ্গরখানা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধার কাজ। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকজনের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং ইন্দোটিবেটান পুলিশের কর্মীরাও হাত লাগান উদ্ধার কাজে। তার জেরে বেঁচে ফিরেছেন বহু পুণ্যার্থী।