অমরনাথ যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব সামলাবে আইটিবিপি
শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ। ১ জুলাই শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ৩ লক্ষ তীর্থযাত্রী। থাকছে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। গতবছর অমরনাথ গুহার সামনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে বন্যা হয়েছিল। তাই প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা কিংবা ভূমি ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারেও বিশেষ জোর দেওয়া হচেছ।
শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের সিইও মনদীপ কুমার ভান্ডারি জানিয়েছেন, ‘এবারের যাত্রা পথ দীর্ঘতম। তাই একাধিক বেস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তীর্থযাত্রীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। বেশ কিছু জায়গায় ভূমিধস এবং পাথর গড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। তাই তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। ওই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে পরতে হবে হেলমেট। এমনকী যাঁরা খচ্চর ব্যবহার করবেন, তাঁদেরও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
জম্মুর ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে তীর্থযাত্রীদের প্রথম দলটি ৩০ জুন উপত্যকার দিকে রওনা হবে। আসল যাত্রা শুরু ১ জুলাই। যা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ৬২ দিন ধরে এই যাত্রা চলবে। যা সবচেয়ে দীর্ঘ। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। উন্নত করা হয়েছে যাত্রা পথের দু’টি রুটও। ৭০ বছর বয়সীরা তীর্থযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য রাস্তার দু’ধারে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে রাতে কোনও তীর্থযাত্রীকে গুহা মন্দিরের কাছে থাকতে দেওয়া হবে না। থাকছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। এছাড়া ক্যাম্পে ভিডিও ডিসপ্লে থাকবে। যার মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।
গত কয়েকদশক ধরে অমরনাথ গুহা মন্দির পাহারার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। এবছর থেকে তা বদল হচ্ছ। ঐতিহ্যগতভাবে হিমালয়ের ৩,৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই তীর্ভূমিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ইন্ডো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ অর্থাৎ আইটিবিপির হাতে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার নেতৃত্বে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে আইবি প্রধান তপন ডেকা এবং 'র' সচিবও উপস্থিত ছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাকি সব বাহিনীর প্রধানরাও। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয়, এবছর অমরনাথ যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব সামলাবে আইটিবিপি।
আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা
গত বছর অমরনাথ গুহার সামনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে বন্যা হয়েছিল। তখন আইটিবিপি জওয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক কোম্পানি আইটিবিপি বাহিনী মোতায়েন থাকায় তাঁরা অনেকের প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও তারা মাউন্টেন ফোর্স নামে পরিচিত। এই বাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাছাড়া, অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েক কোম্পানি সিআরপিএফ সেখানে মোতায়েন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন বাহিনী গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যা আইটিবিপির হাতে নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ