ভোলেনাথের কৃপায় আমরা বেঁচে গিয়েছি...
মেঘভাঙা বৃষ্টি থেকে বেঁচে ফেরা তীর্থযাত্রী। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) বিধস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ (Amarnath)। মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৬ জন। নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে (Piolgrims) উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের তাঁবু। দুর্ঘটনার জেরে আপাতত বাতিল করা হয়েছে তুষারতীর্থ যাত্রা। বরাত জোরে যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।
আরও পড়ুন : মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ, আপাতত স্থগিত যাত্রা
উত্তর প্রদেশের হরদই এলাকা থেকে তুষারলিঙ্গ দর্শনে এসেছিলেন দীপক চৌহান নামে এক পুণ্যার্থী। তিনি বলেন, আতঙ্কে সবাই ছোটাছুটি করছেন। পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেনা জওয়ানদের তৎপরতায় তা হয়নি। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের বহু তাঁবু। বরাত জোরে বেঁচে ফিরেছেন মহারাষ্ট্রের তীর্থযাত্রী সুমিত। তিনি বলেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান আসে। বানের তোড়ে ভেসে আসে প্রচুর বড় বড় পাথর। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা ছিলাম সেখান থেকে দু কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন : অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩০ জুন, এগুলি সঙ্গে না রাখলে পড়বেন সমস্যায়
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন আরও এক পুণ্যার্থী। তিনি বলেন, যখন মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়, তখনকার দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। তার পরেই দেখি চারদিকে শুধুই জল আর জল। আমাদের দলে সাত-আটজন ছিলাম। ভোলেনাথের কৃপায় আমরা সবাই বেঁচে গিয়েছি। তবে বানের তোড়ে পুণ্যার্থী ও তাঁদের ব্যাগপত্র ভেসে যেতে দেখার দুঃসহ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তিনি বলেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির দশ মিনিটের মধ্যেই আটজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। জলের তোড়ে ভেসে এসেছিল প্রচুর বড় বড় পাথর। হাজার পনের তীর্থযাত্রী ছিলেন। বৃষ্টি সত্ত্বেও চলছিল যাত্রা। তার পরেই এই দুর্ঘটনা।
এদিন সকাল থেকেও উদ্ধারকাজ চালান ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের কর্মীরা। জম্মু-কাশ্মীরের গান্ডেরবালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক এ সাহা বলেন, অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে শুক্রবারই ১৩ জন মারা গিয়েছেন। ৪৮ জনেরও বেশি পুণ্যার্থী জখম হয়েছেন। আহত তীর্থযাত্রীদের আপার হোলি কেভ, লোয়ার হোলি কেভ এবং পঞ্চতরণী এলাকার হাসপাতালগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।