Maoism: ‘চূড়ান্ত প্রতিরোধের সময় এসেছে’, ২০২৬-এর মধ্যে মাও-মুক্ত দেশের আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দুই বছরের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত দেশের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হবে মাওবাদীরা (Maoism)। এমনটাই দাবি তাঁর। মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এর মধ্যেই নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ শেষ করার জন্য বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের মাও অধ্যুষিত (Maoism) এলাকায় কেমন পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও-এর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। চূড়ান্ত হামলার সময় এসেছে। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করব।’’ অমিত শাহ জানান, মাওয়াবাদীদের জন্য নতুন সারেন্ডার পলিসি আনা হবে। তাই মাওবাদীরা যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, মাওবাদীদের সন্ত্রাস দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এখনও পর্যন্ত মাও হানায় অন্তত ১৭,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সে রাজ্যের পুলিশের শীর্ষকর্তারা। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির মুখ্য সচিব-সহ প্রশাসনিক কর্তারাও বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকে মূলত মাওবাদী-অধ্যুষিত (Maoism) এলাকায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, গত কয়েক বছরে মাওবাদী হামলা সংক্রান্ত ঘটনায় মৃত্যুর হার কমেছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ৬৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। সেই সংখ্যা এখন ৭০ শতাংশ কমেছে। গত ১০ বছরে মাও হামলার ঘটনা ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।