বিজেপির তরফে এর আগে মুখ খুলেছিলেন...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) কিছু লুকোনোর নেই আর ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। আদানি (Gautam Adani) বিতর্কে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খোলেন শাহ।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি গৌতম আদানিকে সাহায্য করছে। তার জবাব দিতে গিয়েই শাহ বলেন, আড়াল করার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তাঁর মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (Amit Shah) বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি দেখছে। একজন মন্ত্রী হিসেবে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কিন্তু এতে বিজেপির লুকোনোর কিছু নেই। এবং হওয়ার কিছু নেই।
Why don’t they go to court? When Pegasus issue was raised I had said go with proof to court,but they didn't. They only know how to create noise.Court toh humaare kabze mein nahin hai: HM #AmitShahToANI on allegation that central investigative agencies being misused against oppn pic.twitter.com/6oHihSjidG
— ANI (@ANI) February 14, 2023
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে আদানির। ২০১৪ সালের পর আদানি ৬০৯তম থেকে বিশ্বব্যাপী ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে আসেন। কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি আদানিকে বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশি চুক্তিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি আরও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আদানি গত ২০ বছরে নির্বাচনী বন্ড সহ বিজেপিকে কত টাকা দিয়েছে। বিজেপির তরফে এর আগে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তিনি বলেন, ভারতের শেয়ার বাজার খুবই ভালভাবে নিয়ন্ত্রিত। একটি মাত্র ঘটনা, তা নিয়ে বিশ্বে যতই শোরগোল হোক না কেন, তা দিয়ে এই নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার বিচার করা যায় না। ওই ঘটনায় বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীর আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে বলেও আমি মনে করি না।
প্রসঙ্গত, আদানিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। সেই আবেদনের শুনানিতে শনিবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কি আমরা ব্যবস্থা নেব? আমরা নীতিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তা সরকারের কাজ। তবে তিনি এও বলেন, আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। সরকারেরও এ বিষয়ে আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি বলেন, শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও ভারতীয় লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষা সম্পর্কে আশঙ্কার কথা আমরা সলিসিটর জেনারেলকে জানিয়েছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি করে সম্পদ বৃদ্ধির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এদিন সে প্রসঙ্গে শাহের পরামর্শ, বিরোধীরা অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।