'মোদির প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে পারবেন না’, ইউপিএ সরকার ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত, দাবি শাহের
অমিত শাহ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের রণকৌশল তৈরি করতে পাটনায় বৈঠকে বসেছেন বিরোধীরা। এই বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধী ঐক্য নিয়ে উপহাস করে শাহ বলেন, ‘‘ওখানে তো ফোটোসেশন হচ্ছে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কোনও বিরোধী জোটের সম্ভাবনাই নেই।’’ফের বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন, শাহ।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক চলাকালীনই জম্মু ও কাশ্মীরে সফরে গিয়ে শাহ (Amit Shah)বলেন, শেষ পর্যন্ত যদি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোট হয়, তা হলেও তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই । তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই বিরোধী নেতাদের বলতে চাই যে, আপনাদের ঐক্য প্রায় অসম্ভব এবং শেষ পর্যন্ত যদিও বা তা বাস্তব হয়, অনুগ্রহ করে জনগণের সামনে সেই ঐক্য তুলে ধরুন। ২০২৪ সালে, ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রত্যাবর্তন আটকাতে পারবেন না।’’
দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হওয়া দুর্নীতি রুখেছে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই প্রসঙ্গে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের সঙ্গে তুলনাও করেছেন তিনি। শাহের অভিযোগ, ইউপিএ সরকার ১২ লক্ষ কোটির ‘দুর্নীতির’ সঙ্গে জড়িত। ইউপিএ সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের অতীতের পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং কংগ্রেসকে দায়ী করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে সে প্রশ্নও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ (Amit Shah) ছাড়াও বিরোধীদের বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রবীণ বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও। লোকসভা ভোটে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে বৈঠকে বসে বিরোধীরা। মোট ২০টি দলের তাবড় তাবড় নেতা-নেত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: উদ্ধার একে ৪৭-এর গুলি, গ্রেনেড! কাশ্মীরের অনন্তনাগে গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি
আসন ভাগাভাগি সহ একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বৈঠকে, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সীতারাম ইয়েচুরি সহ বাম দলের একাধিক নেতা ছাড়াও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিম অখিলেশ যাদব ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি।তবে, এই বৈঠকে যোগ দেননি তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগমনোহন রেড্ডি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।