কবে থেকে এই সংরক্ষণ দেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি অমিত শাহ
অমিত শাহ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। জম্মু-কাশ্মীর সফরে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজৌরির সভায় তিনি বলেন, “বিচারপতি শর্মা কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ মেনে ওই জন-জাতিগুলিকে দ্রুতই সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে।”
নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এই সফরের নানা কর্মসূচীর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সকালে প্রথম কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের
রাজৌরির সভায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। “সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বাতিল না করলে উপত্যকার জনজাতিদের কি আদৌ সংরক্ষণের আওতায় আনা যেত?” রাজৌরির সভায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে কবে থেকে এই সংরক্ষণ দেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ওই সময় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বিলোপ করা হয়। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। মঙ্গলবারের রাজৌরির সভায় বারবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত। তিনি বলেন, “যাঁরা বলতেন ৩৭০ ধারা তুলে দিলে কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বইবে, তাঁরাই এখন মোদি-মোদি চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। সংবিধানের এই ধারা সরিয়ে দেওয়ার ফলে সংখ্যালঘু, দলিত ও পার্বত্য এলাকার জনজাতি ভুক্ত মানুষরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।