Anjali Kumari: সুলতানপুরী ঘটনার প্রধান প্রত্যক্ষদর্শীর মাদকপাচার যোগ? চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিহতের পরিবারের জন্যে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার।
sultanpuri
sultanpuri

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুলতানপুরীর ঘটনায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। অঞ্জলিমৃত্যু ঘটনার (Anjali Kumari) প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী নিধি, এর আগে মাদকপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, আগ্রা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ড্রাগসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল নিধিকে। তেলেঙ্গানা থেকে ড্রাগ নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

এদিকে শুক্রবার অমিত খান্নার (Anjali Kumari) ভাই অঙ্কুশ খান্না সুলতানপুরী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এর আগে তিনি গাড়িচালকের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার ষষ্ঠ অভিযুক্ত আশুতোষ বুদ্ধ বিহার থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরই অমিত আত্মসমর্পণ করেন। 

মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা 

ঘাতক গাড়ির মালিকের আত্মীয় আশুতোষ ভরদ্বাজ। অঙ্কুশ বিরুদ্ধে (Anjali Kumari) অভিযোগ তিনি খুনিকে লুকোনোর চেষ্টা করেছেন। অঙ্কুশই তাঁদের আরেক ভাই দীপককে এই খুনের দায় নিজের কাঁধে নিতে রাজী করিয়েছিলেন। বলতে বলেছিলেন যে, তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কারণ অমিতের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।

দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই অমিত খান্না, দীপক খান্না, কৃষাণ, মিঠুন এবং মনোজ মিত্তলকে গ্রেফতার করেছে। নিহত অঞ্জলি কুমারীর পরিবারের জন্যে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার।

প্রসঙ্গত, বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরীর (Anjali Kumari) রাস্তা দিয়ে স্কুটি করে বাড়ি ফিরছিলেন ২০ বছরের অঞ্জলি সিংহ নামে এক তরুণী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী নিধি। একটি গাড়ি ওই স্কুটিতে ধাক্কা মারে। অঞ্জলি ছিটকে গিয়ে ওই গাড়ির তলায় পড়ে যান। এই অবস্থাতেই তাঁকে ১৩ কিলোমিটার হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এরপরে ওই গাড়ির তলা থেকে তরুণীর দেহ সরিয়ে ফেলে দিয়ে পালান অভিযুক্তরা। ঘটনার বিভৎসতায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ।

আরও পড়ুন: দিল্লির সুলতানপুরীর ঘটনায় এবার গ্রেফতার গাড়ির মালিক, এখনও অধরা ১

পরবর্তীতে অঞ্জলির (Anjali Kumari) দেশের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, অঞ্জলির সারা দেহে ধুলো লেগেছিল। তরুণীর দেহে পোড়া দাগ রয়েছে। এই ধরনের দাগকে ‘ব্রাশ বার্ন’ বলা হয়। গাড়িটি চলতে থাকায় রাস্তার সঙ্গে চামড়ায় ঘষা লেগে এই পোড়া দাগ তৈরি হয়েছে। পায় ৪০টি ক্ষত রয়েছে দেহে। তবে যৌন হেনস্থার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি শরীরে। ঘটনাটিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles