Antibiotic Side Effects: চাইলেই আর না অ্যান্টিবায়োটিক্স, কারণ লিখতে হবে ডাক্তারদেরও, নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
অ্যান্টিবায়োটিক্সের অপব্যবহার রুখতে কেন্দ্রের নির্দেশ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বর-জ্বালা, সর্দি-কাশি, পেটের গণ্ডগোল, দাঁতে ব্যাথা ফটাফট অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics Misuse) খেয়ে নেওয়ার দিন শেষ। অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের অপব্যবহার রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, ডাক্তাররা যখন প্রেসক্রিপশনে এই ওষুধগুলি লিখবেন, তখন ঠিক কী কারণে এবং কোন পরিস্থিতিতে তিনি এই ওষুধগুলি দিচ্ছেন, তা লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি ‘জরুরি আবেদন’ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের শাখা, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস।
Directorate General Of Health Services (DGHS) writes to letter to All Medical Associations in India over mandatory practice to write indication while prescribing anti-microbials. pic.twitter.com/yplJu7AXnn
— ANI (@ANI) January 18, 2024
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অতুল গোয়েল মেডিক্যাল কলেজগুলির কাছে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ালগুলির নাম লেখার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে সঠিক ইঙ্গিত, কারণ এবং যৌক্তিকতা উল্লেখ করা হয়। শুধু চিকিৎসকদেরই নয়, ওষুধ বিক্রেতাদেরও সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনও রকম বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া গ্রাহকদের কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ না দেওয়া হয়। চিকিৎসকেদের নির্ধারণ করা ডোজ ও কারণ দেখে তবেই দিতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজগুলো শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় না, তরুণ প্রজন্মের চিকিৎসকদের শিক্ষাও দেয়। পরবর্তী প্রজন্মের ডাক্তাররা যাতে বিবেচনা করে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল ওষুধগুলি ব্যবহার করেন, মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের সেই শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Directorate General Of Health Services (DGHS) writes to letter to All Pharmacist Associations in India with urgent appeal to pharmacists to dispense antibiotics only on prescription of a qualified doctor. pic.twitter.com/gjGYj5Sctr
— ANI (@ANI) January 18, 2024
কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্যাক্টেরিয়াল এএমআর-এর কারণে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লক্ষ ২৭ হাজার রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যখন-তখন ইচ্ছেমতো ওষুধ সেবনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হতে পারে। যা আগামী দিনে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে অ্যান্টিবায়োটিকের এই যথেচ্ছ ব্যবহার ২০৫০ সাল নাগাদ এক কোটিরও বেশি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি বলে অভিমত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।