Jammu-Kashmir Assembly: পর পর তিনদিন উত্তাল হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, কেন জানেন?
৩৭০ ধারা বহাল রাখা নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে শুক্রবারও উত্তপ্ত হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। এদিন বিজেপি বিধায়কদের পাশাপাশি মার্শালের নিশানা হলেন আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ। স্পিকার আব্দুল রহিম রাথেরের নির্দেশে শুক্রবার খুরশিদের পাশাপাশি ১২ জন বিজেপি বিধায়ককেও সভা থেকে বার করে দেন মার্শাল। এর প্রতিবাদে বিজেপির বাকি ১১ বিধায়ক ওয়াকআউট করেন।
এই নিয়ে টানা তিন দিন ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে অশান্তি হল দেশের নবীনতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভায়। শুক্রবার সভার শুরুতেই বিরোধী বিজেপির বিধায়কেরা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জবাবে বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে স্লোগান তোলেন। আর এক বিরোধী দল পিডিপির বিধায়কেরাও তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে মার্শালকে তলব করেন স্পিকার। পরে, বিজেপি বিধায়কদের বের করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও দু'পক্ষের অশান্তির কারণে মার্শাল ডেকে কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে বার করে দিয়েছিলেন স্পিকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সরকার বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ করেছিল সেখানকার বিধানসভায়। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি।
আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ নম্বর (Article 370) ধারা বাতিল করে। ফলে, বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরের রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়।
পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Article 370) এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু- কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।